অনলাইন ডেস্ক
পাকিস্তানের বেলুচিস্তানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ও সহিংসতার ঘটনা অব্যাহত রয়েছে। সেখানে সবশেষ পৃথক দুইটি হামলায় ১৩ জন নিহত হয়েছেন।
গোয়াদারের ডেপুটি কমিশনার হামুদুর রহমান জানিয়েছেন, কালমাট এলাকায় করাচিগামী একটি বাসে হামলা চালানো হয়েছে। এ ঘটনায় অন্তত ছয়জন নিহত হয়েছেন। জিওয়ানি স্টেশন হাউস অফিসার (এসএইচও) খালিদ দাস্তি বলেছেন, নিহত ও আহতদের দ্রুত পাসনি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে সোহবাত পুর জেলার একটি গ্রামে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা একটি বাড়িতে গুলি চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। এ ঘটনায় সাতজন নিহত হয়েছেন। সিনিয়র সুপারিনটেনডেন্ট অব পুলিশ (এসএসপি) ইউসুফ বাঙ্গার জানিয়েছেন, নিহতরা একই পরিবারের ও তাদের মধ্যে একজন নারী ও তিন শিশু রয়েছে।
যাত্রীদের ওপর হামলার নিন্দা জানিয়ে দেশটির প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ দুঃখ ও শোক প্রকাশ করেছেন এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এই হামলার তদন্ত ও দায়ীদের বিচারের আওতায় আনার নির্দেশ দিয়েছেন। নিরীহ মানুষের ওপর সন্ত্রাসীদের কাপুরুষোচিত কর্মকাণ্ড তাদের বর্বরতার প্রতিফলন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী হামলায় আহতদের সর্বোত্তম চিকিৎসা সুবিধা প্রদানের নির্দেশ দিয়েছেন। গত সপ্তাহে কালাত ও নোশকি জেলায় সন্ত্রাসীরা কমপক্ষে আটজনকে হত্যা করে। এর কয়েকদিন পর গোয়াদরে হামলাটি ঘটলো।
সম্প্রতি নুশকি-দালবন্দিন মহাসড়কে একটি আধাসামরিক বাহিনীর বহরে বিস্ফোরণে তিনজন ফ্রন্টিয়ার কর্পস (এফসি) সেনাসহ কমপক্ষে পাঁচজন নিহত ও ৩৫ জন আহত হন। এর আগে বেলুচিস্তান লিবারেশন আর্মি (বিএলএ) এর সঙ্গে যুক্ত কয়েক ডজন সন্ত্রাসী একটি রেলওয়ে ট্র্যাক উড়িয়ে দেয় ও জাফর এক্সপ্রেসে হামলা চালায়। যেখানে ৪৪০ জনেরও বেশি যাত্রী ছিল। এক জটিল অভিযানের মাধ্যমে নিরাপত্তা বাহিনী ৩৩ হামলাকারীকে নির্মূল করে এবং জিম্মি যাত্রীদের উদ্ধার করে। এ সময় বেশ কিছু যাত্রীও নিহত হয়। সূত্র: জিও নিউজ
আরও পড়ুন
ড. ইউনূসকে পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান
ভূমিকম্পে মিয়ানমারে নিহতের সংখ্যা হাজার ছাড়িয়েছে
৫১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে হবে ফায়ার সার্ভিসের প্রধান কার্যালয়