অনলাইন ডেস্ক :
পাকিস্তানের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর করাচিতে একটি ব্যাংকে বিস্ফোরণের ঘটনায় অন্তত ১৪ জন নিহত হয়েছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে। বিস্ফোরণে আহত হয়েছেন আরও অনেকে। ধারণা করা হচ্ছে, পয়ঃনিষ্কাশনের নালায় গ্যাস লিকের কারণে এমন ঘটনা ঘটতে পারে। খবর বিসিসির। প্রত্যক্ষদর্শীরা স্থানীয় গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ধ্বংসস্তূপে বহু মানুষ চাপা পড়ে আছেন। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আহতদের করাচি সিভিল হাসপাতাল, ট্রমা সেন্টার এবং জিন্নাহ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হচ্ছে। আহত দুইজনের অবস্থা আশংকাজনক, একজন ভেন্টিলেটরে এবং একজন আইসিইউতে রয়েছে বলে জানা গেছে। ঘটনাস্থলের ফুটেজে দেখা গেছে, হাবিব ব্যাংক নামে ওই বেসরকারি ব্যাংকটির ভবনের জানালা ও দরজা উড়ে গেছে, আশেপাশের যানবাহন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং নথিপত্র রাস্তায় ছড়িয়ে পড়েছে। পুলিশ কর্মকর্তা সারফারাজ নাওয়াজ সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের বিস্ফোরক দলগুলো বিস্ফোরণের ধরন খুঁজে বের করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, তবে দৃশ্যত ব্যাংকের কাঠামোটি একটি ড্রেনের উপর তৈরি করা হয়েছিল এবং সেখানকার গ্যাস এই বিস্ফোরণের সম্ভাব্য কারণ হতে পারে।’ করাচি পুলিশের প্রধান অতিরিক্ত আইজি গোলাম নবী বলেছেন, ব্যাংকের নিচে একটি ড্রেনে গ্যাস লিক হওয়ার কারণে এই বিস্ফোরণটি হতে পারে বলে তারা ধারণা করছেন। তবে প্রকৃত কারণ বোমা নিষ্ক্রিয়কারী স্কোয়াডই বলতে পারবে। ঘটনাস্থলে মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলার সময় সিন্ধুর স্থানীয় সরকার মন্ত্রী নাসির হুসেন শাহ বলেন, কর্তৃপক্ষ এই মুহূর্তে উদ্ধার তৎপরতায় মনোনিবেশ করছে। তবে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সিন্ধুর মুখ্যমন্ত্রী মুরাদ আলি শাহ করাচি কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন। অন্যদিকে সিন্ধুর স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. আজরা পেচুহোর নির্দেশে ট্রমা সেন্টার এবং জিন্নাহ হাসপাতালে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। প্রাদেশিক স্বাস্থ্যমন্ত্রী এই ঘটনাকে ‘বড় ট্র্যাজেডি’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। এদিকে টুইটারে হাবিব ব্যাংকের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত ‘শনিবার বিকেলে আমাদের একটি শাখায় বিস্ফোরণের মতো একটি দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা ঘটেছে। শোকাহত পরিবারের প্রতি আমরা গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।’
আরও পড়ুন
উড়োজাহাজ বিধ্বস্তে ৩৮ জনের মৃত্যু, আজারবাইজানে রাষ্ট্রীয় শোক পালন
বিশ্বে ক্ষুধার্ত মানুষ বাড়ছে, কমছে ধনী দেশের সাহায্য
গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসন চলছেই, একদিনে নিহত ৫৮