কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের ৯টি দানবাক্স থেকে প্রাপ্ত ২৭ বস্তায় রেকর্ড ৭ কোটি ৭৮ লাখ ৬৭ হাজার ৫৩৭ টাকা পাওয়া গেছে।
সকাল ৭টা থেকে রাত পৌনে ২টা পর্যন্ত চলে গণনা। প্রাপ্ত অর্থ এ যাবতকালে রেকর্ড পরিমাণ। ৪ মাস আগের হিসাবের চেয়ে এবার ১ কোটি ৪৬ লাখ ১৬ হাজার ১১৪ টাকা বেশি পাওয়া গেছে।
রাত পৌনে ২টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রূপালী ব্যাংক কিশোরগঞ্জ করপোরেট শাখার ম্যানেজার মো. রফিকুল ইসলাম।
সকাল ৭টার দিকে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও দানবাক্স খোলা কমিটির আহ্বায়ক কাজী মহুয়া মমতাজের তত্ত্বাবধানে দানবাক্সগুলো খোলা হয়। এ সময় জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ, পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ রাসেল শেখ উপস্থিত ছিলেন।
দানবাক্স থেকে প্রাপ্ত টাকা প্রথমে বস্তায় ভরা হয়। ৯টি দানবাক্সে এবার পাওয়া গেছে ২৭ বস্তা টাকা। পরে মসজিদের দ্বিতীয় তলার মেঝেতে ঢেলে শুরু হয় গণনা। দিনভর চলে গণনা। রাত পৌনে ২টার দিকে গণনা শেষে চূড়ান্ত হিসাব সম্পর্কে জানানো হয়। টাকার পাশাপাশি দানবাক্সগুলো থেকে পাওয়া যায় বৈদেশিক মুদ্রা, সোনা ও রুপা।
প্রতি ৩ মাস পর পর দানবাক্সগুলো খোলা হয়। রমজানের কারণে এবার খোলা হয়েছে ৪ মাস ১০ দিন পর।
এর আগে গত ৯ ডিসেম্বর দানবাক্সে পাওয়া গিয়েছিল ৬ কোটি ৩২ লাখ ৫১ হাজার ৪২৩ টাকা। তখন ৩ মাস ২০ দিন পর দানবাক্সগুলো খোলা হয়েছিল।
টাকা গণনার কাজে মাদরাসার ১১২ জন শিক্ষার্থী, ব্যাংকের ৭০ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারী, মসজিদ কমিটির ৩৪ জন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুল সংখ্যক সদস্য অংশ নেন।
দানবাক্সে অর্থ ছাড়াও প্রতিদিন দান হিসেবে পাওয়া যায় কুরআন, হাঁস, মোরগ, গরু, ছাগল, দুধসহ নানা সামগ্রি। এসব সামগ্রি প্রকাশ্যে নিলামে বিক্রি করা হয়।
উল্লেখ্য, জেলা শহরের হারুয়া এলাকায় নরসুন্দা নদীর তীরে ৩ একর ৮৮ শতাংশ জমির উপর দাঁড়িয়ে আছে মসজিদটি।
—–ইউএনবি
আরও পড়ুন
কার দিকে, কেন তেড়ে গিয়েছিলেন তামিম
২২০ চলচ্চিত্র নিয়ে ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব
রংপুরে তারুণ্যের উৎসব-২০২৫ উপলক্ষ্যে ব্যাডমিন্টন প্রতিযোগিতার উদ্বোধন