নিজস্ব প্রতিবেদক:
কয়েক দফা সময় বাড়িয়েও পুলিশ ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়া শেষ না হওয়ায় নিয়োগের অপেক্ষায় বিপুলসংখ্যক শিক্ষক। ফলে চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ ৩২ হাজার ২৮৩ জন শিক্ষক যোগদান করতে পারছে না। মূলত দেশে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ব্যস্ত থাকায় পুলিশ সদস্যরা ভেরিফিকেশনের কাজও শেষ করতে পারছে না। ফলে পুরো নিয়োগ কাজেই স্থবিরতা তৈরি হয়েছে। বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের পুলিশ ভেরিফিকেশন কার্যক্রম ডিমেতালে চলছে। তবে ইতিমধ্যে বেশ কিছু শিক্ষকের তাদের ভেরিফিকেশন সম্পন্ন হয়েছে। কিন্তু তারপরেও পুরো প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার আগে আংশিকভাবে কোনো শিক্ষককে যোগদানের সুযোগ নেই। শিক্ষা মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ৩২ হাজারের অধিক শিক্ষকের ভেরিফিকেশন শুরু হয়েছে। কর্তৃপক্ষ দ্রুত সময়ের মধ্যে ওই কার্যক্রম শেষ করার তাগাদা দিয়েছে। কিন্তু ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের কারণে ভেরিফিকেশন কার্যক্রম বিলম্বিত হচ্ছে। ওই প্রক্রিয়া শেষে সবাইকে একসাথে সুপারিশপত্র দেয়া হবে। শিক্ষকদের ভেরিফিকেশন শেষ হওয়ার পর ফরমগুলো শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে ফেরত পাঠানো হবে। তারপর মন্ত্রণালয় থেকে ভি রোল ফরম বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) কার্যালয়ে পাঠানো হবে। ফরমগুলো যাচাই-বাছাই শেষে চূড়ান্ত সুপারিশপত্র দেবে এনটিআরসিএ।
সূত্র জানায়, এনটিআরসিএ গত ৩০ মার্চ ৫৪ হাজার শূন্যপদের বিপরীতে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। তবে বিভিন্ন নিবন্ধনের রিটকারীদের জন্য ২ হাজার ২০০ পদ সংরক্ষণ করে বাকি পদগুলোতে শিক্ষক নিয়োগের উদ্যোগ নেয়া হয়। আবেদন না পাওয়ায় এবং মহিলা কোটায় যোগ্য প্রার্থী না থাকায় ১৫ হাজার ৩২৫টি পদ ফাঁকা রেখে ৩৮ হাজার ২৮৬ পদে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়। তবে ৬ হাজার ৩ জন প্রার্থী পুলিশ ভেরিফিকেশনের ফরম পূরণ করে না পাঠানোয় ৩২ হাজার ২৮৩ জনের পুলিশ ভেরিফিকেশন করা হচ্ছে।
এদিকে এ প্রসঙ্গে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (মাধ্যমিক-২) ফৌজিয়া জাফরীন সাংবাদিকদের জানান, ৩২ হাজারের বেশি শিক্ষকের পুলিশ ভেরিফিকেশনের কার্যক্রম চলছে। ওই প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষকদের যোগদানের কোনো সুযোগ নেই।
আরও পড়ুন
সরকারি দপ্তরে তদবির বন্ধে যে পদক্ষেপ নিলেন নাহিদ
একই দিনে ৪ শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানকে ওএসডি
৪৩তম বিসিএস গোয়েন্দা সুপারিশে বাদ ২২৭ জন, থাকছে পুনর্বিবেচনার সুযোগ