আগের দিন র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ পেয়েছে বড় সুখবর। ২৪ ধাপ এগিয়ে উঠেছে ১০৪-এ। পূর্ব তিমুরের সঙ্গে ব্যবধানও (৫৩ ধাপ) বেড়েছে। অনূর্ধ্ব-২০ নারী এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে শক্ত অবস্থান ধরে রাখতে তাই আজ বড় জয়ের বিকল্প ছিল না বাংলাদেশের সামনে।
মেয়েরা সেই প্রত্যাশা মিটিয়ে পূর্ব তিমুরকে গোল বন্যায় ভাসিয়েছে বাংলাদেশ। পূর্ব তিমুরকে হারিয়েছে ৮-০ গোলে। হ্যাটট্রিক করেছেন তৃষ্ণা রানী।
শুরুতে অগোছালো ফুটবলে খানিকটা ছন্নছাড়া হয়ে উঠেছিল বাংলাদেশ। এর সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করে তিমুরও। কিন্তু সফল হয়নি। ১৯ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে শান্তি মার্দির শট ঠেকিয়ে দেন হালিনা।
সেই হতাশা কেটে যায় ২০ মিনিটে। স্বপ্নার কর্নার থেকে দারুণ এক হেডে বাংলাদেশকে এগিয়ে দেন সিনহা জাহান শিখা।
৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার গরমে হাঁসফাঁস করছিলেন ফুটবলাররা। রেফারিকে তাই এক অর্ধে দুবার দিতে হয় কুলিং ব্রেক।
এরপর আরও তেতে ওঠে বাংলাদেশ। ৩২ মিনিটে সরাসরি কর্নার থেকে বাঁকানো শটে ‘অলিম্পিক গোল’ করেন শান্তি। বাংলাদেশের ফুটবল ইতিহাসে কর্নার থেকে সরাসরি গোল করা বিরলই বলা যায়।
৩৬ মিনিটে আবারও কর্নার পায় বাংলাদেশ। এবার ব্যবধান ৩-০ করেন নবীরণ খাতুন। বিরতিতে যাওয়ার আগে বাংলাদেশকে আরেকটি গোল এনে দেন তৃষ্ণা। যোগ করা সময়ের তৃতীয় মিনিটে শিখার কাটব্যাক থেকে সহজেই ফাঁকা জালে বল ফেলেন তিনি। বিরতির পর দাপট ধরে রাখে বাংলাদেশ। ৫৭ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন তৃষ্ণা।
৭৩ মিনিটে বক্সে ঢোকার আগে তিমুর গোলরক্ষককে কাটিয়ে ফাঁকা পোস্টে দলের ষষ্ঠ গোলটি করেন মোসাম্মৎ সাগরিকা। ৮২ মিনিটে একক নৈপুণ্য বাঁ প্রান্ত দিয়ে বক্সে ঢোকেন তিনি। তাঁর পাস থেকে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন তৃষ্ণা। যোগ করা সময়ের চতুর্থ মিনিটে স্বপ্নার ফ্রি কিক ক্রসবারে লেগে গোললাইন অতিক্রম করার খুব কাছে ছিল। তবে এর আগেই বল লুফে নেন তিমুর গোলরক্ষক। পঞ্চম মিনিটে তিমুরের কফিনে শেষ পেরেকটি মারেন মুনকি আক্তার।
বড় জয়ে দুই ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে এইচ গ্রুপের শীর্ষে আছে বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে স্বাগতিক লাওসকে ৩-১ গোলে হারিয়েছে পিটার বাটলারের দল। শেষ ম্যাচে ১০ আগস্ট শক্তিশালী দক্ষিণ কোরিয়ার মুখোমুখি হবে তারা।
এনএনবাংলা/আরএম
আরও পড়ুন
টয়লেটের ফ্লাশ নষ্টের কারণে এক ঘণ্টা আকাশে উড়ে ঢাকায় ফিরলো বিমান
এগুলো ভুয়া ছবি, তারা বিশ্বাস করে, মন্তব্য করে: মেহজাবীন
ব্যাংকক যাত্রার এক ঘণ্টা পর ঢাকায় ফেরত এল বিমানের ফ্লাইট