December 23, 2025

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Monday, December 22nd, 2025, 2:39 pm

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারে হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার ৯

 

জাতীয় দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারসহ দুটি সাংস্কৃতিক সংগঠনের কার্যালয়ে হামলার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে অন্তত ৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। পুলিশ জানিয়েছে, ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণের মাধ্যমে আরও কয়েকজনকে শনাক্ত করা হয়েছে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সূত্র অনুযায়ী, সোমবার (২১ ডিসেম্বর) সকাল পর্যন্ত পরিচালিত অভিযানে গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে সাতজনের পরিচয় নিশ্চিত করা গেছে। তারা হলেন—মো. কাশেম ফারুক, মো. সাইদুর রহমান, রাকিব হোসেন, মো. নাইম, ফয়সাল আহমেদ প্রান্ত, মো. সোহেল রানা এবং মো. শফিকুল ইসলাম। এছাড়া কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট ও গোয়েন্দা পুলিশের পৃথক অভিযানে আরও দুজনকে আটক করা হয়েছে, যাদের পরিচয় যাচাই-বাছাই চলছে।

পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট বাহিনী রোববার প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসকে জানিয়েছেন, সাম্প্রতিক এসব ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করে ইতোমধ্যে ৩১ জনকে প্রাথমিকভাবে শনাক্ত করা হয়েছে। একই পদ্ধতিতে চট্টগ্রামে ভারতের সহকারী হাইকমিশনারের বাসভবনের কাছে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টার ঘটনায় তিনজনকে শনাক্ত করা হয়েছে।

গ্রেপ্তারদের মধ্যে মো. কাশেম ফারুক বগুড়ার আল-জামিয়া আল-ইসলামিয়া কাসেমুল উলুম মাদ্রাসার প্রাক্তন ছাত্র এবং বর্তমানে ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকায় বসবাস করছেন। মো. সাইদুর রহমানের বাড়ি ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার নোয়াকান্দা গ্রামে।

শেরপুরের বাসিন্দা রাকিব হোসেনকে প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার কার্যালয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় সক্রিয়ভাবে জড়িত থাকার অভিযোগে ভিডিও ফুটেজে শনাক্ত করা হয়। পুলিশ জানায়, তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম আইডি থেকে ঘটনাস্থলের ধ্বংসস্তূপের ছবি ও উসকানিমূলক পোস্টের তথ্য পাওয়া গেছে।

ঢাকার তেজগাঁওয়ের কুনিপাড়া এলাকার বাসিন্দা মো. নাইমকে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার কাছ থেকে ঘটনার সময় লুট হওয়া ৫০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি স্বীকার করেছেন, মোট ১ লাখ ২৩ হাজার টাকা লুট করেছিলেন। ওই অর্থ দিয়ে মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে একটি টিভি ও একটি ফ্রিজ কেনেন, যা পরবর্তীতে উদ্ধার করা হয়।

কারওয়ান বাজার রেললাইন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার মো. সোহেল রানার বিরুদ্ধে মাদকসহ বিভিন্ন অভিযোগে ঢাকার একাধিক থানায় ১৩টি মামলা রয়েছে। একই এলাকা থেকে আটক মো. শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধেও অতীতে অগ্নিসংযোগ ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে দুটি মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জানিয়েছে, গ্রেপ্তারদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত রয়েছে এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে অভিযান চলমান আছে।

এনএনবাংলা/