অনলাইন ডেস্ক :
প্রিন্স হ্যারির আত্মজীবনী ‘স্পেয়ার’ প্রথম দিনে যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডায় প্রায় ১৪ লাখ ইংরেজি ভাষার কপি বিক্রি হয়েছে। বৃহস্পতিবার বাইটির প্রকাশক সংস্থা পেঙ্গুইন র্যানডম হাউস এই তথ্য জানিয়েছে। প্রকাশক সংস্থা পেঙ্গুইন র্যানডম হাউসের দাবি, যদিও প্রথম সারির ব্রিটিশ দৈনিকগুলো-সহ ইউরোপের বেশ কিছু সংবাদমাধ্যমে ফাঁস হয়েছিল বইয়ের বেশ কিছু তথ্য। তবুও বইটি নিয়ে ঔৎসুক্য যথেষ্ট রয়েছে। বিক্রয় সম্পর্কে বলতে গিয়ে র্যানডম হাউস গ্রুপের সভাপতি এবং প্রকাশক জিনা সেন্ত্রেলো একটি বিবৃতিতে বলেছেন, ‘স্পেয়ার ’ একটি সেলিব্রিটি স্মৃতিকথার চেয়ে অনেক বেশি ছিল। তিনি বলেছিলেন, ‘স্পেয়ার’ হল এমন একজনের গল্প যা আমরা ভেবেছিলাম আমরা ইতিমধ্যেই জানি, কিন্তু এখন আমরা সত্যিকার অর্থে প্রিন্স হ্যারিকে তার নিজের কথার মাধ্যমে বুঝতে পারি। তিনি আরও বলেন, প্রথম দিনের রেকর্ড বিক্রি এটাই প্রমাণ করে, স্পেয়ার এমন একটি বই যা পড়ার দাবি রাখে এবং এটি এমন একটি বই যা আমরা প্রকাশ করতে পেরে গর্বিত। প্রকাশক সংস্থা পেঙ্গুইন জানিয়েছে, প্রিন্স হ্যারির লিখিত স্মৃতিকথা ‘স্পেয়ার’ মোট ১৬টি ভাষায় পাওয়া যাবে। এছাড়াও ইংরেজি ভাষার একটি অডিওবুক হিসাবেও পাওয়া যাবে। পেঙ্গুইন র্যানডম হাউস আরও জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে স্পেয়ারের প্রথম সংস্করণে ২০ লাখ কপি ছাপা হয়েছিল, তবে বইটি এখন চাহিদা মেটাতে অতিরিক্ত কপির প্রয়োজন হবে। এদিকে বইটি প্রকাশিত হওয়ার পরে প্রিন্স হ্যারি ও ব্রিটেনের রাজপরিবার ছাড়াও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছে আর একটি নাম জে আর মোরিঙ্গার। তিনি হ্যারির বইয়ের ‘গোস্ট রাইটার’ অর্থাৎ নেপথ্য লেখক। যার মানে, হ্যারির জবানিতে হলেও বইটি মোরিঙ্গারেরই লেখা। বিখ্যাত ব্যক্তিদের আত্মজীবনীর নেপথ্য লেখক হিসেবে যথেষ্ট নাম রয়েছে পুলিৎজার-জয়ী সাংবাদিক মোরিঙ্গারের। ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড ডেইলি মেইল জানিয়েছে, হলিউড তারকা জর্জ ক্লুনি মোরিঙ্গারের সঙ্গে আলাপ করে দিয়েছিলেন হ্যারির। এই বইটি লেখার জন্য ১০ লক্ষ ডলার (১০ কোটি টাকা) পারিশ্রমিক নিয়েছেন মোরিঙ্গার। উল্লেখ্য, প্রিন্স হ্যারির আত্মজীবনী ‘স্পেয়ার’ মঙ্গলবার প্রকাশ হলেও এটি নিয়ে কয়েক সপ্তাহ ধরেই বিতর্ক হচ্ছে। এছাড়াও বই প্রকাশের আগে বেশ কয়েকটি সাক্ষাৎকারে রাজপরিবারের সঙ্গে সুসম্পর্ক নিয়েও মুখ খুলেছেন প্রিন্স হ্যারি। যেখানে বাবা চার্লস ও ভাই প্রিন্স উইলিয়াম সর্ম্পকে আরও ভয়াবহ অভিযোগ করেন প্রিন্স হ্যারি। নিজের আত্মজীবনীতে প্রিন্স হ্যারি লিখেছেন, তার বাবা কিং চার্লস তাকে ঠাট্টা করে বলেছিলেন, কে বলতে পারে আমি তোমার সৎিয়কারের বাবা কিনা। বইটিতে হ্যারি দাবি করেন, তার ভাই প্রিন্স উইলিয়াম তাকে শারীরিকভাবে আক্রমণ করেছিলেন, যখন তারা হ্যারির স্ত্রী মেঘান সম্পর্কে তর্ক করেছিলেন। এছাড়াও বইটিতে হ্যারি তার কুমারত্ব হারানোর বিবরণ, কিশোর বয়সে মাদক সেবনের স্বীকারোক্তি এবং আফগানিস্তানে ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর সাথে কাজ করার সময় ২৫ জনকে হত্যা করেছিলেন বলে দাবি করেন। সূত্র: এএফপি
আরও পড়ুন
গাজা যুদ্ধে ইসরাইলি সেনা নিহত বেড়ে ৮০০
নামছে সেনা, ফিরছে ২২৫ বছর পুরনো ‘ভিনগ্রহী আইন’
আমেরিকার অস্ত্রে হামলা, চটে লাল পুতিন