বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন পুলিশ কর্মকর্তা দিদারুল ইসলামের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, “দিদারুল মানুষের ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা কুড়িয়েছিলেন, তাঁর মৃত্যু শুধু পরিবারের জন্য নয়, পুরো সমাজের জন্যই অপূরণীয় ক্ষতি।”
সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাতে স্থানীয় সময় নিউইয়র্কের একটি হোটেলে নিহত কর্মকর্তার পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন প্রধান উপদেষ্টা। এ সময় তিনি তাঁদের হাতে সম্মাননা হিসেবে একটি ক্রেস্ট তুলে দেন।
সাক্ষাৎকালে উপস্থিত ছিলেন দিদারুল ইসলামের বাবা মোহাম্মদ আবদুর রব, মা মিনারা বেগম, দুই ছেলে আয়হান ইসলাম ও আজহান ইসলাম, ভাই কামরুল হাসান, ভাইয়ের ছেলে আদিয়ান হাসান, বোন নাদিমা বেগম এবং চাচা আহমেদ জামাল উদ্দিন। এছাড়া প্রধান উপদেষ্টার সফরসঙ্গী হিসেবে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য সচিব আখতার হোসেন ও যুগ্ম আহ্বায়ক ডা. তাসনিম জারা অংশ নেন।
প্রধান উপদেষ্টা জানান, পত্রিকায় ঘটনাটি পড়ে তিনি স্তম্ভিত হয়ে যান। তিনি বলেন, “টিভিতে দেখেছি, নিউইয়র্কে তাঁর শেষ বিদায়ে হাজারো মানুষ শোক জানাতে এসেছিলেন। এত মানুষের ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা পাওয়া সত্যিই বিরল। নিউইয়র্ক সফরের পরিকল্পনা করার সময় থেকেই মনে হয়েছিল আপনাদের সঙ্গে অবশ্যই দেখা করা দরকার।”
পরিবারের সদস্যরা জানান, দিদারুল ইসলাম ছিলেন নিউইয়র্ক পুলিশের একজন দায়িত্বশীল ও প্রশংসিত কর্মকর্তা। ২০২১ সালে এনওয়াইপিডিতে যোগ দেওয়ার পর থেকে তিনি ব্রঙ্কসের ৪৭ নম্বর প্রিসিঙ্কটে কর্মরত ছিলেন। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দায়িত্ব পালন করতে গিয়েই তিনি প্রাণ হারান।
গত ২৮ জুলাই নিউইয়র্কের ম্যানহাটনের পার্ক অ্যাভিনিউয়ে এক বন্দুকধারীর এলোপাতাড়ি গুলিতে তিনি নিহত হন। হামলাকারী বহুতল একটি করপোরেট ভবনে ঢুকে গুলি চালানোর পর নিজেই আত্মহত্যা করেন। তাঁকে ঠেকাতে গিয়ে দিদারুল গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। পরিবারের ভাষ্য অনুযায়ী, তাঁর শরীরে আট থেকে দশটি বুলেটের আঘাতের চিহ্ন ছিল।
এনএনবাংলা/
আরও পড়ুন
সাবেক এমপি ইকবাল ও তার ছেলের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
ঢাকায় ডেঙ্গুতে ৪ মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৭৮১
সাইবার হামলার আশঙ্কায় দেশের সব বিমানবন্দরে সতর্কতা জারি