December 27, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Sunday, December 1st, 2024, 7:27 pm

প্রাথমিকের নতুন পাঠ্যপুস্তকে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের প্রতিফলন থাকবে—রংপুরে গণশিক্ষা উপদেষ্টা

আব্দুর রহমান মিন্টু, রংপুর ব্যুরো :

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় বলেছেন, “প্রাথমিকের নতুন পাঠ্যপুস্তকে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের প্রতিফলন থাকবে।”তিনি বলেন জানুয়ারিতে প্রাথমিকের শিক্ষার্থীরা শতভাগ বই পাবে । গতকাল রোববার (১ ডিসেম্বর) রংপুর পিটিআই-এ এক অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার আগে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, আগে যেমন উৎসব করে দিতাম এবার উৎসব না হলেও বই দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। আমাদের অনেক বই ছাপানো হয়েছে। জানুয়ারি মাসে প্রাথমিকের সব বই দিয়ে দেব।

তিনি বলেন, প্রাথমিকে খুব পরিবর্তন করার মতো কিছু করার ছিল না। ফলে আমরা তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির বইয়ের সিলেবাসে কিছুটা পরিবর্তন এনেছি। আমাদের পাঠ্যপুস্তকগুলোতে ছাত্র-জনতার যে অভ্যুত্থান ঘটে গেল তার প্রতিফলন থাকবে গল্পের আকারে, বিভিন্ন ছবির আকারে থাকবে।

তিনি আরও বলেন, প্রাথমিক শিক্ষা নিয়ে সমাজে বিভিন্ন মনোভাব প্রচলিত আছে। অনেকে মনে করেন, বাচ্চাদের সব কিছু শিখিয়ে ফেলতে পারে কিন্তু আমরা তা মনে করি না। প্রত্যেকে মনে করে প্রাথমিক শিক্ষার মান হচ্ছে সাক্ষর করে গড়ে তোলা। আসলে সাক্ষর মানে তার নিজভাষায় বইয়ের লেখা পড়তে পারা। আমাদের মূল টার্গেট কিভাবে বাচ্চাদের আরও শিক্ষা দিতে পারি। যেন পঞ্চম শ্রেণির বাচ্চা তার মাতৃভাষা শিখতে পারে। এবং যোগ-বিয়োগ, গুণ-ভাগ এসব করতে পারে।

আমরা দেখতে পাচ্ছি প্রাইমারি ভৌত অবকাঠামোর অনেকটা উন্নত হয়েছে উল্লেখ করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, শিক্ষকদের ইন জেনারেলের মান অনেক বেড়েছে। যদিও প্রাইমারি স্কুলগুলো জাতীয়করণ করা হয় ২০১৩ সালে, সে ক্ষেত্রে শিক্ষকরা আগে নিয়োগ পেয়েছে। কিন্তু তাদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে সরকারি স্কুলে। সেক্ষেত্রে মানের ক্ষেত্রে পার্থক্য রয়েছে। আমাদের নিজস্ব ট্রেনিং চালু আছে, ফলে একজন শিক্ষকের সম্ভাবনা থাকে তাহলে নিজেকে ট্রেইন করে নিয়ে পারফরমেন্স ভালো করার সুযোগ রয়েছে।’ ডা. বিধান রঞ্জন রায় বলেন, “প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার পেছনে যাতে অভিভাবকদের বাড়তি খরচ না হয় এবং সবাই সমানভাবে যেন শিক্ষার সুযোগ পায় সে লক্ষ্যে কাজ করছে অন্তবর্রতীকালীন সরকার। শিগগিরই প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য মিড ডে মিল চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে দেশের ১৫০ উপজেলাকে টার্গেট করে এই কার্যক্রম চলমান।”