April 14, 2025

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Thursday, April 10th, 2025, 4:18 pm

প্রিমিয়ার লিগে সন্দেহজনক আউট নিয়ে তদন্ত করছে বিসিবি

গুলশান ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবের দুই ব্যাটারের সন্দেহজনকভাবে আউট হওয়া গতকাল থেকে তৈরি করেছে বিতর্ক। শাইনপুকুর ইচ্ছে করে ম্যাচ ছেড়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন অগ্রণী ব্যাংকের অধিনায়ক ইমরুল কায়েস। এই ঘটনায় ক্রিকেট সংশ্লিষ্টদের উদ্বেগ আমলে নিয়ে তদন্ত শুরুর কথা জানাল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।

বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে বিসিবি বলেছে, বুধবারের ম্যাচটি নিয়ে সংশ্লিষ্টদের উদ্বেগ অবগত হয়েছে বিসিবি। যেকোনো দুর্নীতির বিরুদ্ধে শূন্য সহনশীলতার নীতি রাখা বোর্ড এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে, ‘বিসিবি’র দুর্নীতি দমন ইউনিট এবং লিগের টেকনিক্যাল কমিটি ম্যাচের সঙ্গে জড়িত কথিত অনিয়মের তদন্ত শুরু করেছে।’
বুধবার মিরপুরে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে জেতার পরিস্থিতি থেকে অদ্ভুতভাবে আউট হতে থাকেন শাইনপুকুরের ব্যাটাররা। রাহিম আহমেদ নামের এক ব্যাটার ডাউন দ্য উইকেটে ক্রিজে ছেড়ে বেরিয়ে এসে বড় শটের চেষ্টা না করে ডিফেন্সের ভঙ্গি করে হন স্টাম্পিং, ক্রিজে ফেরার চেষ্টা না করে হাঁটা ধরেন প্যাভিলিয়নের পথে।

এরপর কিপার-ব্যাটার মিনহাজুল আবেদিন সাব্বিরের আউট বিস্ময়ে হতবাক করে সবাইকে, আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমেই ছড়িয়ে পড়েছে এই ঘটনা। জেতার জন্য শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবের তখন দরকার ছিল ৪২ বলে ৭ রান। হাতে উইকেট ছিলো একটি। স্ট্রাইকে থাকা মিনহাজুল ডাউন দ্য উইকেটে গেলেও শটের চেষ্টা করেননি, কিপার বল ধরে প্রথম দফায় স্টাম্পে লাগাতে না পারলে ক্রিজে ফেরার যথেষ্ট সুযোগ ছিলো তার, অবাক করে দিতে তিনি সেই সুযোগ নেননি।
এই ফুটেজ ছড়িয়ে পড়লে ক্ষোভ তৈরি হয়। লজ্জাজনক বলে আখ্যা দিয়ে ফেসবুকে পোস্ট করেন অনেক ক্রিকেটার। বিশদ পোস্টে এক দলকে বাদ দিতে সমঝোতার ম্যাচ বলে গুরুতর অভিযোগ করেন ইমরুল।

এই প্রেক্ষিতে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে ব্যাখ্যা দিল বিসিবি। তারা বলছে, ‘বিসিবি ৯ এপ্রিল ২০২৫ তারিখে মিরপুরের শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচটি নিয়ে উত্থাপিত উদ্বেগের বিষয়ে অবগত হয়েছে।’

‘বিসিবি ক্রিকেটের মর্যাদা সমুন্নত রাখতে এবং ক্রিকেটে সর্বোচ্চ নৈতিক মান বজায় রাখতে তার দৃঢ় অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করতে চায়। যেকোনো প্রকারের দুর্নীতি বা অসদাচরণ, যা খেলার স্পৃহা নষ্ট করতে পারে তার প্রতি বোর্ডের শূন্য সহনশীলতার নীতি রয়েছে।’

তারা বলছে, ‘বিসিবি তার এখতিয়ারে থাকা সমস্ত ক্রিকেটীয় কর্মকাণ্ডে ন্যায্যতা ও শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর এবং তদন্তের বেরিয়ে আসা তথ্যের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে।’