অনলাইন ডেস্ক :
প্রথমার্ধে বেশ ভোগাচ্ছিল গত আসরে নিচের দিকে থাকা আলাভেস। বিরতির পর জ¦লে উঠলেন রিয়াল মাদ্রিদের তারকারা। সামনে থেকে নেতৃত্ব দিলেন করিম বেনজেমা। ফরাসি স্ট্রাইকারের নৈপুণ্যে জয় দিয়ে লা লিগার নতুন আসর শুরু করল কার্লো আনচেলত্তির দল। আলাভেসের মাঠে শনিবার রাতে ৪-১ গোলে জিতেছে স্পেনের সফলতম দলটি। জোড়া গোল করে জয়ের নায়ক বেনজেমা। তাদের অন্য দুই গোলদাতা নাচো ফের্নান্দেস ও ভিনিসিউস জুনিয়র। জয় দিয়ে শুরু হলো রিয়ালের কোচ হিসেবে আনচেলত্তির দ্বিতীয় মেয়াদ। নিজেদের শতবর্ষে ১৯২০ সালের মতো জার্সি পরে খেলতে নামা আলাভেসই পায় প্রথম সুযোগ। এদগার মেন্দেসের হেড যখন ক্রসবারের উপর দিয়ে যায় ম্যাচের বয়স তখন কেবল ৪৮ সেকেন্ড। সপ্তম মিনিটে ডি-বক্সের বাইরে থেকে লুইস রাইয়োহার শট ঠেকান রিয়াল গোলরক্ষক থিবো কোর্তোয়া। আক্রমণ-প্রতি আক্রমণে জমে ওঠা ম্যাচে সপ্তদশ মিনিটে প্রথম সুযোগ পায় রিয়াল। ২০ গজ দূর থেকে বাঁকানো শট একটুর জন্য লক্ষ্যে রাখতে পারেননি এদেন আজার। পরের চার মিনিটে আরও দুটি সুযোগ পায় রিয়াল। ফেদে ভালভেরদে ও গ্যারেথ বেল পারেননি শট লক্ষ্যে রাখতে। ৩২তম মিনিটে উঁচু করে বাড়ানো বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ডি-বক্সের মাথা থেকে বাঁকানো শটে চেষ্টা করেন বেনজেমা। কিন্তু বল চলে যায় বার ঘেঁষে। ছয় মিনিট পর প্রতি-আক্রমণে দারুণ সুযোগ পায় আলাভেস। ডান দিক থেকে কিছুটা এগিয়ে মেন্দেস খুঁজে নেন রাইয়োহাকে। তার হেড ব্যর্থ হয় লুকাস ভাসকেসের হাতে লেগে। ফিরতি বলে পন্সের শট ক্রসবার ঘেঁষে বাইরে চলে যায়। ৪৪তম মিনিটে প্রতি-আক্রমণে সুযোগ আসে রাইয়োহার সামনে। ডি-বক্সের বাইরে থেকে শট লক্ষ্যে রাখতে পারেননি তিনি। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে এগিয়ে যায় রিয়াল। এতে একটু ভাগ্যের ছোঁয়া ছিল; বেলের ক্রসে ছুটে গিয়ে পা ছোঁয়াতে পারেননি বেনজেমা, তিনি ছিলেন পরিষ্কার অফসাইডে। ভাসকেসের কাছ থেকে বল পেয়ে চমৎকার ফ্লিকে আজার খুঁজে নেন বেনজেমাকে। গতিময় ভলিতে বাকিটা সারেন তিনি। এ নিয়ে তিনবার কোনো মৌসুমে রিয়ালের প্রথম গোলটি করলেন বেনজেমা। ৫৬তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে রিয়াল। মদ্রিচের চমৎকার ক্রসে ছুটে গিয়ে শুয়ে পড়ে দারুণ ফিনিশিংয়ে ঠিকানায় বল পাঠান নাচো। চার মিনিট পর ব্যবধান ৩-০ করেন বেনজেমা। এতে দারুণ অবদান ফেদে ভালভেরদের। বল পায়ে অনেকটা এগিয়ে উরুগুয়ের এই মিডফিল্ডার খুঁজে নেন তাকে। তার প্রথম চেষ্টা একজনের গায়ে লেগে কিছুটা দিক পাল্টালেও কোনোমতে ফেরান গোলরক্ষক, তবে ফিরতি বলে বেনজেমার বুলেট গতির শট ঠেকানোর তেমন কোনো সুযোগই ছিল না তার। ৬৫তম মিনিটে সফল স্পট কিকে ব্যবধান কমান হোসেলু। এদের মিলিতাওয়ের দুর্বল ব্যাক পাস ডেকে আনে বিপদ। ছুটে আসা জন গিদেত্তিকে অনেকটা বাধ্য হয়েই ফাউল করেন কোর্তোয়া। লা লিগায় রিয়ালের বিপক্ষে সবশেষ ৭ ম্যাচে এটি হোসেলুর ষষ্ঠ গোল। ২০১৬ সালের জানুয়ারি থেকে এই প্রতিযোগিতায় রিয়ালের জালে তার চেয়ে বেশি গোল আছে কেবল লুইস সুয়ারেসের (১০ ম্যাচে ৭ গোল)। ম্যাচের শেষ শটে চমৎকার গোলে ব্যবধান বাড়ান ভিনিসিউস। রিয়ালের হয়ে প্রথম প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ খেলতে নামা ডাভিড আলাবার দুর্দান্ত ক্রসে চমৎকার হেডে বল জালে পাঠান ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড।
আরও পড়ুন
টেস্ট ক্রিকেট: মরণদশা থেকে বাঁচানোর উপায় কী
একটা ধাক্কায় কোহলির ৪ লাখ টাকা জরিমানা
মাশরাফি–সাকিব কি খেলবেন বিপিএলে?