ফিলিপাইনের মধ্যাঞ্চলে আঘাত হানা শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় কালমায়েগি ভয়াবহ ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে। ঝড় ও বন্যার প্রভাবে সেখানে মৃতের সংখ্যা ১৪০ জন ছাড়িয়েছে, যা সাম্প্রতিক সময়ের মধ্যে দেশটির সবচেয়ে বড় প্রাকৃতিক দুর্যোগে পরিণত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) পরিস্থিতির অবনতি দেখে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র।
জাতীয় বেসামরিক প্রতিরক্ষা দপ্তরের তথ্যে জানা গেছে, এ পর্যন্ত ১১৪ জনের মৃত্যুর খবর আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করা হয়েছে। এর পাশাপাশি সেবু প্রাদেশিক কর্তৃপক্ষ নতুন করে আরও ২৮ জনের মৃত্যুর খবর দিয়েছে। এখনও ১২৭ জন নিখোঁজ রয়েছেন।
স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, সেবু প্রদেশে নজিরবিহীন বন্যায় গাড়ি, নদীর ধারের ঝুপড়ি ঘরবাড়ি, এমনকি জাহাজের বিশাল কনটেইনারও ভেসে গেছে। প্রদেশটিতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ভয়াবহ।
ফিলিপাইনের সিভিল ডিফেন্স অফিসের তথ্য অনুযায়ী, বুধবার থেকে শুরু হওয়া ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে প্রায় ২০ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে ৫ লাখ ৬০ হাজারেরও বেশি গ্রামবাসী বাস্তুচ্যুত, এবং ৪ লাখ ৫০ হাজারের বেশি মানুষকে জরুরি আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
এদিকে, দুর্যোগ-প্রতিক্রিয়া কর্মকর্তারা সতর্ক করেছেন যে, প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল থেকে আরও একটি গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঘূর্ণিঝড় সুপার টাইফুনে রূপ নিতে পারে। এটি আগামী সপ্তাহের শুরুতেই উত্তর ফিলিপাইনে আঘাত হানতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এনএনবাংলা/

আরও পড়ুন
পাকিস্তান থেকে আনা ৩২ টন ‘পাখির খাদ্যে’ ২৫ টনই নিষিদ্ধ পপি বীজ
ডেঙ্গু আজও প্রাণ নিল ৫ জনের, হাসপাতালে ভর্তি ১০৩৪
শুক্রবার সকাল থেকে ২২ ঘণ্টা গ্যাস বন্ধ থাকবে যেসব এলাকায়