অনলাইন ডেস্ক :
হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটিতে ২০২৪ সালের স্নাতকদের ডিগ্রি দেওয়ার দুই সপ্তাহ পার হয়েছে। কিন্তু আসমার আসরার সাফি এখনো সেই ডিগ্রি পাননি। এজন্য অপেক্ষা করছেন। একই পরিস্থিতিতে পড়েছেন আরো ১২ শিক্ষার্থী। তারা সবাই বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের স্নাতকের শিক্ষার্থী। কিন্তু অন্তত এক বছরের জন্য তাদের ডিগ্রি দেওয়া বন্ধ রয়েছে। গাজায় ইসরাইলের হামলায় ফিলিস্তিনিদের হত্যা বন্ধের দাবিতে গত ১৭ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্রের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ শুরু হয়।
পরে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে তা ছড়িয়ে পড়ে। হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে শিবির স্থাপন করে প্রতিবাদে অংশ নেয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের শীর্ষ নিয়ন্ত্রক সংস্থা হার্ভার্ড করপোরেশন ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভে জড়িত থাকার কারণে ঐ ১৩ শিক্ষার্থীকে ডিগ্রি নিতে বাধা দেয়। গত ২৩ মে চলতি বছরের স্নাতক অনুষ্ঠান হয়। হার্ভার্ড কলেজের সামাজিক অধ্যয়ন এবং জাতিসত্তা, অভিবাসন ও অধিকার বিষয়ের শিক্ষার্থী সাফি বলেন, ‘আমি আমার আপিলের সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করছি।’
সাফির মতো আরেক শিক্ষার্থী শ্রদ্ধা জোশিও এবার ডিগ্রি পাননি। তিনি বলেন, আমার পক্ষ থেকে আপিলের আবেদন শেষ করার পর আমরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যোগাযোগের জন্য অপেক্ষা করছি। শিক্ষার্থী ও অনুষদ সদস্যরা প্রক্রিয়াটির অস্পষ্টতার কারণে বেশ বিভ্রান্ত এবং আপিলের সময়সীমা অস্পষ্ট। আমরা অস্থিরতায় রয়েছি।
এ ব্যাপারে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন মুখপাত্র বলেন, শিবিরে অংশগ্রহণকারীদের প্রতিনিধিদের কাছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট গারবারের লেখা চিঠিতে শাস্তিমূলক প্রক্রিয়াগুলোর ফলাফলের ব্যাপারে কথা বলা হয়নি। বরং এটি নির্দেশ করে যে, তিনি শৃঙ্খলা সংস্থাগুলোকে তাদের বিদ্যমান নজির ও অনুশীলনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে প্রক্রিয়াগুলো দ্রুত এগিয়ে নিতে বলেছেন।
আরও পড়ুন
দক্ষিণ কোরিয়ায় বিমান বিধ্বস্তে নিহত বেড়ে ১৭৭
হাসিনার মতো ‘বিশ্বস্ত মিত্র’কে হারানোর ঝুঁকি নেবে না ভারত
উড়োজাহাজ বিধ্বস্তে ৩৮ জনের মৃত্যু, আজারবাইজানে রাষ্ট্রীয় শোক পালন