October 27, 2025

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Tuesday, September 30th, 2025, 3:40 pm

ফেব্রুয়ারির মধ্যে পাচার হওয়া কিছু অর্থ ফেরত আনা সম্ভব: অর্থ উপদেষ্টা

 

অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ আশা প্রকাশ করেছেন যে বিদেশে পাচার হওয়া অর্থের একটি অংশ আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে ফেরত পাওয়া যেতে পারে। তবে তিনি কী পরিমাণ অর্থ ফেরত আসবে সে বিষয়ে নির্দিষ্ট কোনো সংখ্যা জানাননি।

মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদায়ী পরিষদ কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, “টাকা পাচারকারীরাই জানে কিভাবে এসব করা হয়। তা ফেরত আনতে গেলে কিছুটা সময় লাগবে — তবু কিছু অগ্রগতি হয়েছে। আমরা অনেক লিগ্যাল ফার্মের সঙ্গে আলোচনা করছি; হয়তো ফেব্রুয়ারির মধ্যে কিছু টাকা আসতে পারে। বাকিটা আনার জন্য আমরা প্রয়োজনে আরও প্রস্তুতি নিচ্ছি।”

ড. সালেহউদ্দিন উল্লেখ করেন, কোনো সরকারি প্রক্রিয়া এই ফরমালিটি ছাড়াই কাজ করবে না। তিনি বলেন, “আপনি যদি বলেন—টাকা সেন্ট্রাল ব্যাংকে দাও, সুইস ব্যাংকে বললাম টাকা দাও—তারা তো একেবারেই আইনগত পদ্ধতি মেনেই কাজ করবে; সেটা লিগ্যাল ওয়ে যেতে হবে।”

তিনি আরও জানিয়েছেন যে বেশ গুরুত্বপূর্ণ কিছু মামলাকে উচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। “১১-১২টি কেস আমরা হাই প্রায়রিটিতে রেখেছি। আর যেগুলো ২০০ কোটি টাকার বেশি সেগুলোও ধরা হচ্ছে,” তিনি বলেন।

নতুন সরকার এই প্রক্রিয়াগুলো ধারাবাহিকভাবে চালিয়ে নিবে কি না—সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, “চালিয়ে নিতে তারা বাধ্য। কারণ এই প্রক্রিয়াগুলো না থাকলে টাকা ফেরত আনা সম্ভব নয়। যদি ফেরত আনতে হয়, আন্তর্জাতিক চর্চা অনুসারে এগুলো মেনটেইন করতেই হবে।”

কী পরিমাণ অর্থ ফেরত আনা যাবে সেটা জানতে চাইলে তিনি নির্দেশ করেন যে এই প্রশ্নের উত্তর দেবেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর। একই সঙ্গে তিনি জানান যে এখনও কিছু অর্থ পাচার হয়েছে বলে অভিযোগ আসছে এবং এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকে একটি ব্যাপক রিভিউ চলমান রয়েছে। “একটু সময় নিয়ে আমরা দেখব কতটুকু আনা সম্ভব,” তিনি বলেন।

অবশেষে তিনি জানান, ইতোমধ্যে বিভিন্ন দেশের কাছে সম্পদের ওপর ফ্রিজ থাকা জানানো হয়েছে—কে কোথায় অ্যাকাউন্ট খুলেছে, কোথায় পাসপোর্ট আছে ইত্যাদি তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে; এখন বাকিটা কাজগুলো সম্পন্ন করতেই সময় লাগছে।

এ বিষয়ে আরও প্রশ্ন করা হলে তিনি উল্লেখ করেন যে উপদেষ্টা এলাকায় অতিরিক্ত বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে—এমন অভিযোগ ভিত্তিহীন; বেশিরভাগ প্রকল্প দীর্ঘ সময় ধরেই চালু রয়েছে।

এনএনবাংলা/