রংপুর ব্যুরো: জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেছেন, ফ্যাসিবাদী শক্তি নির্বাচনে না আসতে পারলে গণতন্ত্রের বিজয় সূচিত হবে। জাতীয় নাগরিক পার্টি দীর্ঘদিন ধরে দাবী জানিয়ে আসছে দল হিসেবে আওয়ামী লীগের বিচার করা, নিবন্ধন বাতিল ঘোষণাসহ তাদের দলের নাম ও মার্কা নিয়ে বাংলাদেশে কেউ কোন ভাবে রাজনীতি করতে পারবে না।
বৃহস্পতিবার দুপুরে রংপুর নগরীর মাহিগঞ্জ গ্লাস ফ্যাক্টরী মাঠে ভ্যান শোভাযাত্রা শুরুর আগে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
আখতার হোসেন বলেন, দেশের মানুষের প্রত্যাশা যাদের হাত ধরে ফ্যাসিবাদ বিদায় নিয়েছে, দেশ গণতান্ত্রিক পরিবেশে উত্তোরণের সুযোগ পেয়েছে, সেই তরুণদের হাত ধরে দেশের মানুষ আগামীর বাংলাদেশ বির্নিমান করতে চায়। সে যাত্রায় জাতীয় নাগরিক পার্টি কাজ শুরু করেছে।
নির্বাচন নিয়ে তিনি বলেন, আমরা মনেকরি অন্তর্র্বতী সরকার সংস্কার ও বিচার কার্যক্রমের দৃশ্যমান অগ্রগতি নিশ্চিতের ভেতর দিয়ে নির্বাচনের দিকে অগ্রসর হবে। তবে নির্বাচনের ক্ষেত্রে অবশ্যই গণপরিষদ নির্বাচনের বাস্তবতা রয়েছে। দেশে ফ্যাসিবাদী, একনায়ক তান্ত্রিক, অগণতান্ত্রিক ও জনগণের অধিকার বঞ্চিত করার সংবিধান দিয়ে দেশের শাসন কাঠামো পরিচালিত হবে তা দেশের মানুষ চায় না। দেশের মানুষ নতুন সংবিধান প্রত্যাশা করে। আশা করবো ক্রিয়াশীল ফ্যাসিবাদ বিরোধী সকল রাজনৈতিক পক্ষ গণপরিষদ নির্বাচনের বিষয়ে জনগণের আকাঙ্খার প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকবে।প্রধান উপদেষ্টা ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা বলেছেন। অন্য রাজনৈতিক শক্তি যদি অন্তর্র্বতী সরকারকে সহযোগিতা করে তাহলে সংস্কার ও বিচার কার্যক্রম অতি দ্রæত সময়ের মধ্যে দৃশ্যমান করে নির্বাচনের পথে অগ্রসর হওয়া সম্ভব। এতে এই সময় সীমার মধ্যে নির্বাচন হওয়ার মত বাস্তব পরিস্থিতি তৈরী হতে পারে।
আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি সম্পর্কে বলেন, আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি যোগসাজশ করে পরপর ৩টি ডামি নির্বাচন, প্রহসনের নির্বাচন করেছে। এই দুই দলের যোগসাজশে দেশের মানুষ গণতন্ত্রের আবহ থেকে পরিপূর্ণভাবে বঞ্চিত ছিল। দীর্ঘ সময় ধরে ফ্যাসিবাদীদের যাতাকলে পৃষ্ঠ হওয়ার পেছনে ছিল এই দুটি রাজনৈতিক দল। দেশের ২০২৪ সালে যেন গণহত্যা সংগঠিত হয়েছিল তার প্রকাশ্য মদতদাতা সংগঠন আওয়ামী লীগ ও তাদের দোসর জাতীয় পার্টি। পিলখানা হত্যাকান্ড, মোদি বিরোধী আন্দোলনে হত্যাকান্ড, শাপলা হত্যাকান্ড ও জুলাই হত্যাকান্ডে ব্যক্তি হিসেবে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এবং দল হিসেবে আওয়ামী লীগ জড়িত ছিল।যারা গণহত্যার আনজাম দেয়, দেশের মানুষের উপর মানবতাবিরোধী অপরাধ চাপিয়ে দেয়, গণতন্ত্রকে লুন্ঠন করে নিয়ে যায়, এমন শক্তি কোনভাবে গণতন্ত্রের পক্ষের শক্তি নয়। গণতন্ত্রকামী মানুষ ও দেশ কোনভাবে ফ্যাসিবাদী শক্তিকে তাদের দেশে রাজনীতি করতে দেয়ার অধিকার রাখে না। তাই আমরা মনেকরি আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির মত ফ্যাসিবাদী শক্তি ইনক্লুসিভ নির্বাচনের প্রয়োজনীয় উপাদান হতে পারে না।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, এনসিপি’র সংগঠক আলমগীর নয়ন, তৌফিক ইসলামসহ অন্যরা। এরপর দুই শতাধিক ভ্যানে নেতা কর্মীদের নিয়ে একটি শোভাযাত্রা পীরগাছার দেউতি, সৈয়দপুর, কদমতলা, পীরগাছা, নেক মামুদ, পাওটানা, ভাইয়েরহাট ও কাউনিয়ার টেপামধুরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
আরও পড়ুন
জেলেদের চাল আত্মসাত: অভিযোগের তীর ইউপি প্রশাসক ও দুই বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে
শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জের সাংবাদিকদের সম্মানে হাজী সেলিম ফাউন্ডেশন এর ইফতার মাহফিল ও মতবিনিময়
ঈদকে সামনে রেখে সুন্দরবনে বাড়তি নিরাপত্তা, বনজ সম্পদ রক্ষায় কর্মকর্তাদের ছুটি বাতিল