বগুড়ায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে স্বেচ্ছাসেবক লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে গুলি বিনিময়ের ঘটনায় জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা নাজমুল হাসান ওরফে ওরেঞ্জ (২৮) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। সোমবার রাত ১১ টার দিকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নিহত ওরেঞ্জ শহরের মালগ্রাম ডাবতলা এলাকার রেজাউল করিমের ছেলে। তিনি স্বেচ্ছাসেবকলীগ বগুড়া জেলা শাখার সহ সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন।
এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রীর দায়ের করা মামলায় অন্যতম আসামি খায়রুল ইসলাম (৪৮ ) এবং টিপুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম রেজা বলেন, লাশ বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারকে লাশ দেয়া হবে।
উল্লেখ্য, বগুড়ার মালগ্রাম এলাকায় মাদক, জুয়ার নিয়ন্ত্রণ ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে মালগ্রাম ডাবতলা এলাকায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও অস্ত্রের মহড়া চলে আসছিল। এর জের ধরে ২ জানুয়ারি (রবিবার) রাত ৮টার দিকে স্বেচ্ছাসেবক লীগ কর্মী, রাসেল, সানী ও সুমনের নেতৃত্বে মালগ্রাম ডাবতলা এলাকায় আরেক গ্রুপের ওপর হামলা হয়। এতে অরেঞ্জ ও আপেল গুলিবিদ্ধ হন। ঘটনার পরের দিন ওরেঞ্জের স্ত্রী বাদী হয়ে সাত জনের নাম উল্লেখ করে ১২ জনের নামে বগুড়া সদর থানায় মামলা করেন।
ওরেঞ্জ মারা যাওয়ার সংবাদে এলাকায় উত্তেজনা দেখা দিলে মালগ্রাম ডাবতলা ও মালগ্রাম দক্ষিণপাড়া এলাকায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
—ইউএনবি
আরও পড়ুন
কার দিকে, কেন তেড়ে গিয়েছিলেন তামিম
রংপুরে তারুণ্যের উৎসব-২০২৫ উপলক্ষ্যে ব্যাডমিন্টন প্রতিযোগিতার উদ্বোধন
রংপুরে প্রিপেইড মিটার স্থাপন বন্ধের দাবিতে নাগরিক কমিটির সংবাদ সম্মেলন