বঙ্গোপসাগরের বহির্নোঙর এলাকায় দুই জাহাজের সংঘর্ষে ‘এমভি সুলতান’ নামে একটি লাইটারেজ জাহাজ ডুবির ঘটনায় দু’জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড। শুক্রবার (১৪ অক্টোবর) সকালে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কোস্টগার্ড পূর্ব জোনের জোনাল কমান্ডার ক্যাপ্টেন কাজী শাহ আলম বলেন, বুধবার (১২ অক্টোবর) বিকালে চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙ্গর দুই জাহাজের সংঘর্ষে এমভি সুলতান নামের একটি লাইটারেজ জাহাজ ডুবে যায়। পরে খবর পেয়ে কোস্ট গার্ড দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে তিনজনকে জীবিত উদ্ধার করে। এ ঘটনায় নিখোঁজ হন ৬ জন। এর মধ্যে আজ সকালে দু’জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বাকি চারজনকে উদ্ধারে কোস্টগার্ড কাজ করছেন। উদ্ধার হওয়া মরদেহের বিস্তারিত পরিচয় পরে জানানো হবে।
এদিকে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর ইছানগর এলাকায় মাছ ধরার ট্রলার ডুবির ঘটনায় ৫ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এখনও নিখোঁজ রয়েছেন দু’জন।
বুধবার রাতে ও বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) কর্ণফুলী নদীর নতুন ব্রিজ, পতেঙ্গা এলাকা থেকে মরদেহগুলো উদ্ধার করে নৌপুলিশ।
নৌপুলিশ জানিয়েছে, এ সময়ে ট্রলারের স্কিপার ফারুক বিন আব্দুল্লাহ, সেকেন্ড ইঞ্জিনিয়ার জহিরুল ইসলাম, চিফ অফিসার মো. সাইফুল ইসলাম, ফিশ মাস্টার মো. জহির উদ্দিন ও ডক সদস্য রহমত মিয়ার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
শুক্রবার (১৪ অক্টোবর) সকালে সদরঘাট নৌ-থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একরাম উল্লাহ বলেন, র্যাঙ্কন কোম্পানির মালিকানাধীন এফভি মাগফেরাত ফিশিং ট্রলার ডুবির ঘটনায় ৭ জন নিখোঁজ ছিলেন। তাদের মধ্যে ৫ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বাকি দু’জনের সন্ধানে নৌ পুলিশ কাজ করছে।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১টার দিকে কর্ণফুলী নদীর সি-রিসোর্স ডকইয়ার্ড ঘাট এলাকায় এফভি মাগফেরাত নামে মাছ ধরার ট্রলারটি ডুবে যায়।
—ইউএনবি
আরও পড়ুন
সাংবাদিকদের সাথে রংপুর পুলিশ সুপারের মতবিনিময়
সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের কারণ উদঘাটনে তদন্ত কমিটি
উড়োজাহাজ বিধ্বস্তে ৩৮ জনের মৃত্যু, আজারবাইজানে রাষ্ট্রীয় শোক পালন