খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব ‘বড়দিন’ উপলক্ষ্যে সরকারি ছুটির দিনে কক্সবাজারে রেকর্ড পরিমাণ পর্যটক সমাগম হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল থেকেই শহরজুড়ে মিলেছে লাখো মানুষের উপস্থিতি। সৈকতের বালুকাবেলায় পর্যটকরা উপভোগ করছেন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও অবকাশযাপন, আবার হোটেলগুলো সাজানো হয়েছে উৎসবের আমেজে।
রাজধানীর তেজগাঁও থেকে এসেছেন পর্যটক শান্তা রোজারিও। তিনি বলেন, “কক্সবাজার প্রিয় জায়গা, সুযোগ পেলেই চলে আসি। বড়দিনে পরিবার নিয়ে এসেছি, সমুদ্র আমাকে মুগ্ধ করছে। শীতের সময়ে এখানকার পরিবেশটা অন্যরকম ভালো লাগে।”
তবে আনন্দের মাঝেই কিছু ভোগান্তি দেখা দিয়েছে। বাড়তি খরচ, সৈকত এলাকায় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীর উৎপাত ও কিছু অব্যবস্থাপনা পর্যটকদের দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বড়দিন উপলক্ষে শকক্সবাজারের অভিজাত হোটেলগুলোতে নানা আয়োজন রয়েছে। হোটেল-মোটেল মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার জানান, “২৭ তারিখ পর্যন্ত সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে টানা তিন দিনের ছুটি রয়েছে। এছাড়াও ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত হোটেল-মোটেলের সব কক্ষ পূর্ণ বুকিং। সব মিলিয়ে এই মৌসুমে পর্যটন ব্যবসায় শত কোটি টাকার বাণিজ্য ছাড়িয়ে যাবে।”
পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং হয়রানি প্রতিরোধে ট্যুরিস্ট পুলিশ নিয়মিত মনিটরিং চালাচ্ছে। কক্সবাজার রিজিয়নের অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদ জানান, “আমাদের প্রথম কাজ হচ্ছে পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। প্রয়োজনে হেল্পলাইন ০১৩২০১৬০০০০-এ যোগাযোগ করলে সহায়তা পাওয়া যাবে।”
এনএনবাংলা/

আরও পড়ুন
ভোটে কখনো হারেননি খালেদা জিয়া, সংসদীয় রাজনীতিতে অনন্য রেকর্ড
বেগম খালেদা জিয়া যেভাবে হয়ে ওঠেন ‘আপসহীন’
খালেদা জিয়ার স্মরণে গুলশান কার্যালয়ে শোকবই, রাষ্ট্রদূতদের স্বাক্ষর