October 6, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Thursday, August 17th, 2023, 8:13 pm

বড়দের বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন দেখছেন তানজিদরা

অনলাইন ডেস্ক :

‘একটাই স্বপ্ন, বড়দের হয়ে বিশ্বকাপ জেতা’- তানজিদ হাসানের ঠোঁটের কোণে এক চিলতে, কিন্তু কণ্ঠে দৃঢ় প্রতিজ্ঞার সুর। বাংলাদেশের ২০২০ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জেতানোর কারিগরদের একজন তিনি। এরপর নানা পথ পেরিয়ে জাতীয় দলে সুযোগ পেয়ে প্রথম সংবাদ সম্মেলনেই এই ওপেনার শোনালেন স্বপ্নের কথা। যুব বিশ্বকাপজয়ী যারা এখন জাতীয় দলে আছেন, সবাই ছবি আঁকছেন আসল বিশ্বকাপ জয়ের। ২০২০ সালের অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয়ী দলের ক্রিকেটারদের মধ্যে জাতীয় দলে সবশেষ সংযোজন তানজিদ।

তার আগে আন্তর্জাতিক মঞ্চে খেলার স্বাদ পেয়েছেন মাহমুদুল হাসান জয়, শরিফুল ইসলাম, শামিম হোসেন, তাওহিদ হৃদয়, পারভেজ হোসেন ইমন ও মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরিরা। বাকিদের আসা যাওয়ার মধ্যে এশিয়া কাপের দলে তানজিদ ছাড়াও আছেন হৃদয়, শামিম ও শরিফুল। চোট-টোট বাধা হয়ে না দাঁড়ালে দেড় মাস পর ভারতে অনুষ্ঠেয় ওয়ানডে বিশ্বকাপের দলে হৃদয়ের থাকার অনেকটাই নিশ্চিত। জোর সম্ভাবনা আছে শরিফুলেরও। এশিয়া কাপে খেলার সুযোগ পেলে কাজে লাগাতে পারলে প্রথমবারের মতো বড়দের বিশ্বকাপ খেলার দুয়ার খুলে যেতে পারে তানজিদ-শামীমদেরও। জাতীয় দলের ক্যাম্পে তাদের নিজেদের মধ্যে আলোচনা হয় এই বিশ্বকাপ নিয়েও।

মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার অনুশীলন শেষে সংবাদ সম্মেলনে তামিম শোনালেন, তাদের স্বপ্ন বড়দের বিশ্বকাপেও বাজিমাত করা। “আমরা যেটা অর্জন করেছি(অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ), সেটা তো এখন অতীত হয়ে গেছে। আমাদের (যুব বিশ্বকাপজয়ী) সবার মধ্যে একটাই কথা হয়, সবার একটাই স্বপ্নৃ বড়দের হয়ে বিশ্বকাপ জেতা।” “যখন আমাদের দেখা হয়… সামনে যেহেতু বিশ্বকাপ, একটা জিনিসই মাথায় কাজ করে… আমরা এশিয়া কাপ বা যত টুর্নামেন্টই খেলি, ‘ব্যাক অব দা মাইন্ড’ কিন্তু সবসময় বিশ্বকাপ থেকেই যায়। ইনশাল্লাহ চেষ্টা করব এবার। যদি কপালে থাকে, হয়ে যাবে।” বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশের সামনে এশিয়া কাপ। ওই টুর্নামেন্ট খেলতে শ্রীলঙ্কা যাওয়ার আগে শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে গত কয়েক দিন ম্যাচের আদলে অনুশীলন করেছেন ক্রিকেটাররা।

বড় টুর্নামেন্টের আগে এমন অনুশীলন দলের সবার প্রস্তুতিতে অনেক সহায়তা করেছে বলে জানালেন তানজিদ। “আমাদের যে ম্যাচের আদলে অনুশীলন হয়েছে, এটা পুরোপুরি এশিয়া কাপের ওপরে হয়েছে। শ্রীলঙ্কার কন্ডিশনে যেরকম সবাই বলছিল যে, তিনশর বেশি রান হবে সেই পরিস্থিতি অনুযায়ী এখানে অনুশীলন হয়েছে। আমরা চেষ্টা করেছি লক্ষ্য ছুঁতে। সেখানে সবাই সফল হয়েছে।” গত কয়েক দিনের অনুশীলনে বারবার হানা দিয়েছে বৃষ্টি। প্রস্তুতিতে তা বাগড়া দিয়েছে বটে। তবে শ্রীলঙ্কাতেও বৃষ্টি হয় বছরজুড়ে। এদিক থেকে তাই এই বৃষ্টিও কিছুটা সহায়তা করেছে প্রস্তুতিতে। “ম্যাচের আদলে অনুশীলনে যেটা হয়, আবহাওয়া তো আমাদের হাতে থাকে না। ম্যাচেও এই ধরনের পরিস্থিতি আসতে পারে। আমাদের পরিকল্পনা ওভাবেই থাকে। বৃষ্টি এলে একরকম পরিকল্পনা থাকে। বৃষ্টির পরে আরেক রকম পরিকল্পনা থাকে। তো মাথায় এটা ভাবনা থাকে যে, বৃষ্টির পর আমরা কীভাবে সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়াব।”