মডেলিং, সিনেমা, ওটিটি, টিভি নাটক- সব মাধ্যমেই নিজের প্রতিভার স্বাক্ষর রাখছেন সুনেরাহ বিনতে কামাল।
সুনেরাহ বলেন, ‘আমি প্রতিনিয়ত কাজ করছি, কাজের মধ্যে থাকছি, সেটা সব মাধ্যমেই। ফলে অভিনয়ের স্কুলিংটা আমার নিয়মিতই হয়েছে, হচ্ছে। অভিনয় তো একটা বিশাল তা আছে, সেখানে কতটা পরিপক্ব হয়েছি বলতে পারছি না। আমি কাজ পাগল মানুষ। কাজ ছাড়া থাকতে হতাশ লাগে। কাজের মাঝেই এখন আনন্দ পাই।’
২০১৯ সালে ‘ন ডরাই’ সিনেমায় অভিনয় করে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার– সেরা অভিনেত্রীর স্বীকৃতি পেয়েছেন। স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘মশারি’-তে অভিনয় করে প্রসংশিত হয়েছেন। রোজার ঈদে মুক্তি পায় সুনেরাহ অভিনীত ‘দাগি’ এরপর ঈদুল আযহায় তানিম নূর পরিচালিত ‘উৎসব’।
সুনেরাহ অভিনীত সিনেমাগুলোতে চরিত্রের ভেরিয়েশন থাকে বেশি। প্রতিবারই ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রে দেখা যায় তাকে। এমন প্রশ্নে তিনি জানান, ‘চ্যালেঞ্জ নিতে আমার ভালো লাগে। প্রতিবারই চরিত্রটা হয়ে ওঠার জন্য চ্যালেঞ্জিং পথটা উপভোগ করেছি। একজন অভিনেতার কাছে তো এটাই শান্তির ও প্রাপ্তির।’

নাটকে সুনেরাহ’র শুরুটা ২০২২ সালে ‘শূন্য থেকে শুরু’নামের নাটকে তাহসানের সাথে অভিনয়ের মাধ্যমে। এরপর একরে পর এক করে গেছেন ভিন্ন গল্পের ভিন্ন চরিত্রের নাটক।
সিনেমার অভিনেত্রী সুনেরাহ এখন নাটকেই বেশি ব্যস্ত। কারণ কী? অভিনেত্রী বললেন, ‘বিশেষ কোনো কারণ নেই। আমি সবসময় শিখি। সিনেমা করেছি, ওটিটিও করেছি। আমার সিনিয়র পরামর্শ বা বুদ্ধি দিলেন এবার নাটকে অভিনয়ের চেষ্টা কর, এই অঙ্গনে অভিনয়ের অভিজ্ঞতা নেওয়ার দরকার আছে। আমিও চেষ্টা করলাম, নতুন কিছু শিখতে। চেষ্টা করতে গিয়েই বলতে পারেন নাটকে নিয়মিত হয়ে গেলাম।’
সম্প্রতি প্রথমবারের মতো ধারাবাহিক নাটকে যুক্ত হয়েছেন সুনেরাহ। মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজের ‘এটা আমাদের গল্প’-এ অভিনয় করছেন তিনি। সুনেরাহ বললেন, ধারাবাহিক নাটকে এবারই প্রথম অভিনয় করলাম। বলতে পারেন, প্রথম অভিজ্ঞতা। সত্যি বলতে কি, এখন আমি কাজ ছাড়া বসে থাকতে পারি না। শুধু শুধু বসে থাকলে ডিপ্রেস লাগে। সিনেমায় অভিনয় করার সময় মাঝে অনেক সময় ফাঁকা থাকে। নিয়মিত অভিনয়ের কোর্সও করেছি। ফাঁকা সময়ে তো আমাকে বসে থাকলে হবে না। অভিনয়ের চর্চাটা নিয়মিত চালিয়ে যেতে হবে। সেই চর্চাটাই নাটকে অভিনয় করার মধ্য দিয়ে হচ্ছে। নাটক-ওটিটি-ও সিনেমা– তিনটি মাধ্যমেই কাজ একটা, সেটা অভিনয়। তবে প্রত্যেকটা বিভাগের অভিনয়ের আলাদা আলাদা বৈশিষ্ট্য রয়েছে। অভিনয় মানে শুধু পর্দায় মুখ দেখানো নয়– এটি এক আত্মিক সংযোগ।’

কয়েক বছর আগেও সুনেরাহকে সবাই চঞ্চল মেয়ে হিসেবেই চিনতেন। কাজের বাইরে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা আর ঘোরাফেরা করেই সময় কাটত। সেই সুনেরাহর এখন বদলে গেছেন। কারণ কী? সুনেরাহ বললেন, ‘এখন দায়িত্ব বেড়েছে। বাসা, বাবা-মা আর ছোট ভাই আছে। সবাইকে নিয়েই আমার হ্যাপি ফ্যামিলি। তাই কাজের বাইরে সময় কাটানো হয় না। আমাকে দেখে সবাই বলে আমি এখন অনেক শান্ত হয়ে গেছি। আসলে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মানুষ তো বদলায়। নানা কারণে বদলায়।’
এনএনবাংলা/

আরও পড়ুন
টেস্ট দলের নেতৃত্বে আবারও শান্ত
আজ থেকে বন্ধ হচ্ছে ১০টির বেশি সিম
মেহজাবীনও থাকছেন ‘দম’ সিনেমায়