অনলাইন ডেস্ক :
লিবিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবদুল হামিদ আল-দিবেইবাহর ওপর গত বৃহস্পতিবার রাতে বন্দুক হামলা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এ হামলা থেকে তিনি অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছেন। রয়টার্স বলছে- রাতে বাসভবনে ফেরার সময় প্রধানমন্ত্রীর গাড়িবহরে বন্দুক হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। এরপর হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। তবে হামলার কোনো ছবি বা ভিডিও ফুটেজ পাওয়া যায়নি। ঘটনাটিকে পরিকল্পিত হত্যাচেষ্টা বলে উল্লেখ করেছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একটি সূত্র। এর আগে গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে দুর্বৃত্তদের হত্যাচেষ্টার শিকার হয়েছিলেন দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ফাতি বাশাগা। তিউনিশিয়ায় শুরু হওয়া আরব বসন্তের ঢেউ ছড়িয়ে পড়ে প্রতিবেশী দেশ লিবিয়ায়। ২০১১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ৪২ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা ‘স্বৈরশাসক’ কর্নেল মুয়াম্মার গাদ্দাফিকে ক্ষমতাচ্যুত করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে লিবিয়ার হাজারো মানুষ বিক্ষোভ শুরু করে। বেনগাজীতে শুরু হওয়া বিক্ষোভ খুব দ্রুতই দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে এবং রাজধানী ত্রিপোলী দখলের মাধ্যমে শেষ হয়। ন্যাটো বাহিনীর সহায়তায় কর্নেল গাদ্দাফীকে হত্যা করার পর বিক্ষোভকারীরা ন্যাশনাল ট্রানজিশনাল কাউন্সিলকে (এনটিসি) ক্ষমতায় বসায়। এরপর দেশটি দুই পক্ষে বিভক্ত হয়ে পড়ে। জাতিসংঘ স্বীকৃত লিবিয়ার সরকার রাজধানী ত্রিপোলিসহ দেশটির পশ্চিমাঞ্চল নিয়ন্ত্রণ করছে। অন্যদিকে বেনগাজিকে কেন্দ্র করে মিসর, জর্ডান ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের সমর্থিত বিদ্রোহী জেনারেল খলিফা হাফতারের বাহিনী দেশটির পূর্বাঞ্চলের দখল নেয়।
আরও পড়ুন
টেক্সাসে হঠাৎ বন্যায় ২৪ জনের মৃত্যু, নিখোঁজ ২৫ শিশু
আবুধাবিতে প্রবাসী বাংলাদেশির ৮০ কোটি টাকার লটারি জয়
ওভাল অফিস থেকে জাকারবার্গকে বেরিয়ে যেতে বলা হয়