December 16, 2025

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Tuesday, December 16th, 2025, 2:54 pm

বাংলাদেশের মহান বিজয় দিবসকে আবারও ‘ভারতের ঐতিহাসিক বিজয়’ বললেন মোদি

 

বাংলাদেশের মহান বিজয় দিবসকে ফের ভারতের ‘ঐতিহাসিক বিজয়’ বলে দাবি করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ মন্তব্য করেন। ওই পোস্টে বাংলাদেশের নাম উল্লেখ করেননি মোদি।

নরেন্দ্র মোদির ইংরেজিতে দেওয়া পোস্টটির বাংলা অনুবাদ করলে দাঁড়ায়— ‘বিজয় দিবসে আমরা সেই সাহসী সৈন্যদের স্মরণ করি, যাঁদের সাহস ও আত্মত্যাগ ১৯৭১ সালে ভারতের এক ঐতিহাসিক বিজয় নিশ্চিত করেছিল।’

তিনি আরও লেখেন, ‘তাঁদের দৃঢ় সংকল্প এবং নিঃস্বার্থ সেবা আমাদের জাতিকে রক্ষা করেছিল এবং আমাদের ইতিহাসে গর্বের একটি মুহূর্ত খোদাই করে রেখেছে। এই দিন তাঁদের বীরত্বকে স্যালুট জানায় এবং তাঁদের অতুলনীয় চেতনার কথা মনে করিয়ে দেয়। তাঁদের বীরত্ব ভারতের প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করে চলেছে।’

এটি প্রথম ঘটনা নয়। এর আগেও ২০২৪ সালের বিজয় দিবসে নরেন্দ্র মোদি একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধকে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের বিজয় হিসেবে উপস্থাপন করেছিলেন। সে সময়ও একই ভাষায় তিনি ১৯৭১ সালের যুদ্ধকে ‘ভারতের ঐতিহাসিক বিজয়’ বলে উল্লেখ করেন।

ঐতিহাসিক দলিল অনুযায়ী, ভারত ১৯৭১ সালের ৩ ডিসেম্বর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধে বাংলাদেশের মুক্তিবাহিনীর সঙ্গে যৌথ বাহিনী হিসেবে যোগ দেয়। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর আত্মসমর্পণের দলিল ‘ইন্সট্রুমেন্ট অব সারেন্ডার’-এও স্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে, পাকিস্তানি বাহিনী ‘ভারত ও বাংলাদেশের যৌথ বাহিনীর’ কাছেই আত্মসমর্পণ করেছিল।

এর আগে প্রায় ৯ মাস ধরে পুরো মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করেন বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধারা। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তানি বাহিনীর বর্বরোচিত গণহত্যার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়।

যুদ্ধ পরিচালনার জন্য গঠিত ১১টি সেক্টরের কমান্ডার ছিলেন তৎকালীন পাকিস্তান সেনাবাহিনী থেকে বিদ্রোহ করে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করা কর্মকর্তারা। পাশাপাশি ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলস (ইপিআর) ও পুলিশ বাহিনীর সদস্যরাও স্বাধীনতার পক্ষে সক্রিয়ভাবে অংশ নেন।

মুক্তিযুদ্ধের নয় মাসে লাখ লাখ বাংলাদেশি প্রাণ হারান। অন্যদিকে, কয়েক দিনের যুদ্ধে ভারতীয় সেনাদের প্রাণহানির সংখ্যা তুলনামূলকভাবে খুবই নগণ্য।

এনএনবাংলা/