অনলাইন ডেস্ক :
অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক কারণে শ্রীলঙ্কার অবস্থা এখন অগ্নিগর্ভ। দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া জনগণ রাস্তায় নেমে এসেছে। সরকার উৎখাত হয়েছে। এর মাঝেই দেশটিতে চলছিল অস্ট্রেলিয়া-শ্রীলঙ্কা পূর্ণাঙ্গ সিরিজ। কিছুদিন আগে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটের সচিব মোহন ডি সিলভা বলেছিলেন, তাদের দেশের অর্থনৈতিক সংকটের মাঝেই এশিয়া কাপ আয়োজনের জন্য তারা আত্মবিশ্বাসী। কিন্তু পরিস্থিতি দ্রুত বদলে যাচ্ছে। বিক্ষোভকারীদের প্রতিবাদের ঝড় আছড়ে পড়েছে রাষ্ট্রপতির বাসভবনে। প্রধানমন্ত্রীর বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়। পদত্যাগ করেছেন রাষ্ট্রপতি গোতাবায়া রাজাপক্ষে। ক্রিকেট বিষয়ক জনপ্রিয় ওয়েসবসাইট ‘ক্রিকবাজ’ মোহন ডি সিলভার বক্তব্য উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, ‘আমরা এটি এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) ওপর ছেড়ে দিয়েছি। তবে এসিসির সভাপতি জয় শাহকে ইভেন্টটি আয়োজনের জন্য আমাদের প্রস্তুতি সম্পর্কে জানিয়েছেন আমাদের বোর্ডের সভাপতি শাম্মি সিলভা। ‘দেশটির বর্তমান পরিস্থিতিতে হাইপ্রফাইল ক্রিকেট টুর্নামেন্ট আয়োজন করা খুবই কঠিন বিষয় হবে। দৈনিক জাগরণের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, খেলোয়াড়রা এমন পরিবেশে ক্রিকেট খেলতে হয়তো নিরাপদ বোধ করবেন না। এখন এমন পরিস্থিতি দাঁড়িয়েছে যে, শ্রীলঙ্কায় এশিয়া কাপ আয়োজন করা সম্ভব নয়। এর পরিবর্তে বাংলাদেশ এই আসরের আয়োজক হওয়ার ক্ষেত্রে এগিয়ে আছে বলে মনে করা হচ্ছে। বাংলাদেশ এর আগে ২০১৬ সালে এশিয়া কাপের আয়োজন করেছিল। এবারের আসরে বাংলাদেশ, ভারত, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান অংশগ্রহণ করবে। এশিয়ার অন্য দলগুলোর মধ্যে সংযুক্ত আরব আমিরাত, কুয়েত, সিঙ্গাপুর, হংকংয়ের মধ্যে কারা খেলবে, সেই সিদ্ধান্ত হবে বাছাই পর্ব শেষে। ২৭ আগস্ট থেকে এবারের এশিয়া কাপ শুরু হওয়ার কথা আছে। কিন্তু পরিবর্তিত পরিস্থিতে সূচিও বদলে যেতে পারে। এ বিষয়ে এখনো বিসিবির কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন
ঝোড়ো ইনিংস খেলে কেন মাহমুদউল্লাহকে কৃতিত্ব দিলেন রিশাদ?
বিশ্বকাপের সুপার সিক্সে বাংলাদেশ
মুখোমুখি হচ্ছেন সাকিব-তামিম