নরসিংদীতে শুক্রবারের ভয়াবহ ভূমিকম্পের রেশ কাটার আগেই শনিবার সকালে আবারও ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে। আগের কম্পনের ২৪ ঘণ্টাও পার হয়নি; এর মধ্যেই আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্রের যন্ত্রে নতুন কম্পন ধরা পড়ে।
শুক্রবার সকাল ১০টা ৩৮ মিনিট ২৬ সেকেন্ডে ৫ দশমিক ৭ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পটি অনুভূত হয়। আর আজ শনিবারের কম্পন রেকর্ড করা হয়েছে সকাল ১০টা ৩৬ মিনিট ১২ সেকেন্ডে।
তবে আজকের ভূমিকম্পটির তীব্রতা ছিল তুলনামূলকভাবে অনেক কম—রিখটার স্কেলে মাত্রা ছিল ৩ দশমিক ৩। ফলে বড় ধরনের কোনো ক্ষতির তথ্য পাওয়া যায়নি। যদিও উৎপত্তিস্থল নিয়ে সকালে কিছুটা বিভ্রান্তি তৈরি হয়।
দুপুরের দিকে ভূকম্পন পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের প্রফেশনাল অ্যাসিস্ট্যান্ট নিজাম উদ্দিন আহমেদ জানান, প্রাথমিকভাবে তাদের ওয়েবসাইটে দেখানো হয়েছিল যে কম্পনের উৎস গাজীপুরের বাইপাইল, যা ঢাকার উত্তরদিকে প্রায় ২৬ কিলোমিটার দূরে। সরকারি পর্যবেক্ষক সংস্থার তথ্যেও একই স্থান উল্লেখ ছিল। কিন্তু ঘণ্টাখানেক পর ওয়েবসাইট হালনাগাদ হলে উঠে আসে নতুন তথ্য।
সংশোধিত তথ্যে জানানো হয়, আজকের ভূমিকম্পের প্রকৃত উৎপত্তিস্থল নরসিংদীর পলাশ অঞ্চল। ঢাকার সঙ্গে দূরত্ব একই (২৬ কিলোমিটার) থাকলেও অবস্থানগত দিক থেকে এটি গতকালের ভূমিকম্পের উৎসস্থল নরসিংদীর মাধবদীর খুব কাছেই।
আবহাওয়া অধিদপ্তর আরও জানায়, দুটি ভূমিকম্পই একই গভীরতায় সংঘটিত হয়েছে। টানা দুই দিনের কম্পন রাজধানী ও আশপাশের মানুষকে আবারও স্মরণ করিয়ে দিল ভূমিকম্পঝুঁকির বাস্তবতা। একই সঙ্গে বিশেষজ্ঞদের সামনে নতুন প্রশ্ন—মাধবদী–পলাশ এলাকায় কি ভূতাত্ত্বিক চাপ ক্রমেই বাড়ছে?
এনএনবাংলা/

আরও পড়ুন
হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় বাস্তবায়ন হবে ইনশাআল্লাহ: সালাহউদ্দিন
দিনাজপুরে বাস-ইজিবাইক সংঘর্ষে একই পরিবারের ৫ জন নিহত
হাসিনার রাজনৈতিক জীবন কি শেষ, কী বলছেন বিশ্লেষকরা