October 5, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Sunday, December 10th, 2023, 7:42 pm

বাগেরহাটে প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষ পাচ্ছেন শহরের সুবিধা

বাগেরহাটের শহর, বন্দর, গ্রামসহ সর্বত্র উন্নয়নের ছোঁয়া লাগায় প্রত্যন্ত অঞ্চলের অনেক মানুষ শহরের সুবিধা পাচ্ছেন।

মোংলায় ইপিজেডের পাশাপাশি অর্থনৈতিক জোন করা হয়েছে। খুলনা-মোংলা রেলপথ নির্মাণ করা হয়েছে। জেলার কয়েক হাজার ভূমি ও গৃহহীনদের জমিসহ বসতবাড়ি নির্মাণ করে দেওয়া হয়েছে। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য কমপ্লেক্স ও বসতবাড়ি নির্মাণ করা হয়েছে।

মৃতপ্রায় মোংলা সমুদ্রবন্দর কর্মচাঞ্চল্যতা ফিরে পেয়েছে। পলি মাটি জমে ভরাট হয়ে যাওয়া মোংলা ঘষিয়াখালী চ্যানেলসহ প্রায় ২০০টি নদী-খাল পুনঃখনন করে প্রবাহ ফিরিয়ে আনা হয়েছে। সুন্দরবনে বাঘরক্ষাসহ পর্যটন শিল্পকে এগিয়ে নিতে নানা উদ্যোগ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

জেলায় হতদরিদ্রদের স্বল্পমূল্যে নানাভাবে খাদ্য সহায়তার ব্যবস্থা করে দিচ্ছে প্রশাসন। তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহার ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে জেলাজুড়ে। জেলার মোট জনসংখ্যার টার্গেট অনুযায়ী প্রায় শতভাগ মানুষকে করোনার ভ্যাকসিনের আওতায় আনা হয়েছে। কৃষি ক্ষেত্রেও এই জেলায় ব্যাপক সফলতা রয়েছে।

বাগেরহাটে সরকারের বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কথা হলে জানা গেছে, জেলায় নানা ক্ষেত্রে ধারাবাহিকভাবে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড চলছে। এরইমধ্যে বেশকিছু উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ায় মানুষ এর সুফল ভোগ করছে। শিগগিরই আরো বেশকিছু উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ শেষ হবে।

আশ্রয়ণ

জেলার কয়েক হাজার ভূমি ও গৃহহীন মানুষ দীর্ঘদিন ধরে মানবেতর জীবনযাপন করছিলেন। এই সরকার প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ প্রকল্পের অধীনে জেলার ৩ হাজার ৬৬৪টি ভূমি ও গৃহহীন পরিবারকে জমিসহ গৃহনির্মাণ করে দিয়েছে। পঞ্চম ও ষষ্ঠ প্রকল্পের অধীনে আরো ৯৩৯টি পরিবারকে জমিসহ ঘর দেওয়ার কাজ চলমান রয়েছে।

স্বাস্থ্য

স্বাস্থ্য সেবা মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষকে স্বাস্থ্য সেবা দেওয়া হচ্ছে। বাগেরহাট ১০০ শয্যার সদর হাসপাতালকে ২৫০ শয্যার জেলা হাসপাতালে রূপান্তরিত করা হয়েছে। ২৫০ শয্যা হাসপাতালের জন্য ৭তলা নতুন ভবন নির্মাণ করা হয়। এই হাসপাতালে ১০ শয্যার আইসিইউ এবং ২০ শয্যার আইশোলেশন নির্মাণ করা হয়েছে। সম্প্রতি ১০ শয্যার আইসিইউ উদ্বোধন করা হয়।

প্রতিদিন গড়ে এই হাসপাতালে এক হাজার ৫০০ জন মানুষ চিকিৎসা সেবা নিচ্ছেন। জেলার সব উপজেলায় স্বাস্থ্য বিভাগের চাহিদা অনুযায়ী সম্প্রসারিত ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। জেলার ২৫০ শয্যার হাসপাতাল এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে বিনামূল্যে রোগীদের ওষুধ সরবারহসহ চিকিৎসা সেবার মান বাড়ানো হয়েছে।

খাদ্য

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় বাগেরহাটে ১৫ টাকা কেজি দরে জনপ্রতি ৩০ কেজি করে চাল বিতরণ করা হচ্ছে। প্রায় ৯৮ হাজার পরিবার বছরে ৫ মাস এই খাদ্য সহায়তা পাচ্ছেন। ভিডব্লিউডি কার্ডের মাধ্যমে ২১ হাজার ১৩০টি পরিবারকে প্রতিমাসে ৩০ কেজি করে চাল দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া ওএমএসের মাধ্যমে জেলায় প্রায় ২২ হাজার পরিবার ৫ কেজি করে চাল ও ৫ কেজি করে আটা স্বল্পমূল্যে ক্রয় করতে পারছেন। জেলায় ১৫ বছরে ৫ লাখ ৯৭ হাজার ৩২০ মেট্রিক টন চাল ও আটা নানাভাবে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হয়েছে।

বিদ্যুৎ

বাগেরহাটের রামপালে ১ হাজার ৩২০ মেঘাওয়াট বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্ট কোম্পানি লিমিটেড এরই মধ্যে দু’টি ফেজে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হয়েছে। কয়লাভিত্তিক ওই বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সরবারহ করা হচ্ছে।

বাগেরহাট জেলার সর্বত্রই বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। ১৫ বছরে বাগেরহাট জেলায় নতুন ৭ হাজার ৩৮৯ দশমিক ৬৭১ কিলোমিটার পল্লী বিদ্যুতের লাইন নির্মাণ করা হয়েছে। এই সময়ে পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহক সংখ্যা প্রায় ৪ লাখ বেড়েছে। বিদ্যুতের উপকেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে ১২টি।

নৌপথ

বিভিন্ন সময় পলি মাটি জমে বাগেরহাটের অসংখ্য নদী-খাল এবং আন্তর্জাতিক প্রটোকলভুক্ত মোংলা ঘষিয়াখালী চ্যানেল ভরাট হয়ে যায়। পানি শূন্যতার কারণে চ্যানেলটিতে নৌযান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সরকার এটিকে পুনরায় খনন করে নৌযান চলাচল স্বাভাবিক করছে। এখন ওই চ্যানেল নিয়মিত খনন করে সচল রাখা হয়েছে। এই চ্যানেল দিয়ে প্রতিদিন বেশকিছু নৌযান পণ্য নিয়ে চলাচল করছে।

এছাড়া জেলায় পলিমাটি জমে ভরাট হয়ে যাওয়া ১৩টি নদী এবং ১৭২টি খাল পুনরায় খনন করে পানি প্রবাহ ফিরিয়ে আনা হয়েছে। বাঁধ, স্লুইস ও ক্লোজার নির্মান করা হয়।

অন্যদিকে বাগেরহাটের শরণখোলায় বলেশ্বর নদী পাড়ে ৬৫ কিলোমিটার এবং বাগেরহাট সদরে ৩৫/৩ পোল্ডারে ৩৫ কিলোমিটার টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে।

সড়ক বিভাগ

বাগেরহাটে ১৫ বছরে ২৩১ দশমিক ০২৩ কিলোমিটার সড়ক প্রশস্তকরণসহ উন্নত করা হয়েছে। এই সময়ে ৪৮টি সেতু এবং ১৬৩টি কালভার্ট নির্মাণ করা হয়। রিজিড পেভমেন্ট নির্মাণ করা হয় ২ দশমিক ৬৯২ কিলোমিটার। ৩৯ কিলোমিটার আঞ্চলিক সড়ককে জাতীয় মহাসড়কে এবং ৫৩ কিলোমিটার জেলা মহাসড়ককে আঞ্চলিক মহাসড়কে উন্নীত করা হয়েছে।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ

১৫ বছরে বাগেরহাট জেলায় এলজিইডি পল্লী সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ১ হাজার ৫৪২ দশমিক ৩২ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে। একই সঙ্গে প্রায় ১ হাজার ৯৮৬ দশমিক ৪৫ কিলোমিটার সড়ক মেরামত করা হয়। ৫ হাজার ৯৭০ দশমিক ০৫ মিটার ব্রিজ ও কালভার্ট নির্মাণ করা হয়েছে।

২৬২টি সামাজিক অবকাঠামোর উন্নয়নসহ ৭২৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামো নির্মাণ কর হয়। সড়কের নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণের কাজে নিয়োজিত করে ৩ হাজার জন দুস্থ নারীকে স্বাবলম্বী করে তোলা হয়েছে।

শিক্ষা প্রকৌশল বিভাগ

বাগেরহাট শিক্ষা প্রকৌশল বিভাগের অধীনে জেলায় ১৫ বছরে স্কুল, কলেজ, মাদরাসাসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ২৫০টি নতুন ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। একই সঙ্গে এই সময়ে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৫০০টি ভবন সংস্কার করা হয়। এসব ভবন নির্মাণ ও সংস্কারের ফলে শিক্ষাত্রীরা মনোররম পরিবেশে জ্ঞানার্জন করছেন।

জনস্বাস্থ্য বিভাগ

বর্তমান সরকারের এই সময়ে জেলায় ২৫ হাজার ৬০৬টি রেইনওয়াটার হারভেস্টিং সিস্টেম এবং ১৫৫টি সোলার পিএসএফ নির্মাণ করা হয়। সুপেয় পানির জন্য জেলায় ১৯৫টি পুকুর পুনঃখনন করা হয়। ১০ হাজার ৩২০টি গভীর নলকূপ, ৭৫টি ন্যানো ফিল্টার, ১০টি রিভার্স অসমোসিস স্থাপন করা হয়েছে। ৯টি লবণাক্ততা দূরীকরণ প্ল্যান্ট, পৌরসভায় প্রতিঘণ্টায় ২ লাখ লিটার পানি পরিশোধন ক্ষমতা সম্পন্ন টিটমেন্ট প্ল্যান্ট স্থাপন করা হয়েছে।

পৌরবাসীকে সুপেয় পানির আওতায় আনতে ৬৫ কিলোমিটার পাইপলাইন স্থাপন করা হয়েছে। একই সঙ্গে ৩ হাজার পরিবারকে লাইনের গৃহসংযোগ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া নানা প্রকল্পের মাধ্যমে জেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ মানুষের সুপেয় পানির ব্যবস্থা করা হয়েছে। এসব প্রকল্পের মাধ্যমে জেলার ১০ লক্ষাধিক মানুষ সুপেয় পানি পাচ্ছে।

সামাজিক নিরাপত্তা

বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে জেলায় মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা হয়েছে। দরিদ্র মানুষ যাতে কাজ পায় এজন্য নানা প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। নিম্ন আয়ের মানুষের খাদ্য সহায়তা দিতে স্বল্পমূল্যে চাল ও আটা বিতরণ করা হচ্ছে। এছাড়া টিসিবির মাধ্যমে চাল, ডাল, তেলসহ বিভিন্ন পণ্য কমমূল্যে বিক্রি করা হচ্ছে। ভূমি ও গৃহহীন পরিবারকে জমিসহ গৃহনির্মাণ করে দিয়েছে সরকার।

সুন্দরবন

বিশ্বঐতিহ্য সুন্দরবনে একসময়ে জলদস্যু-বনদস্যুদের রাজত্ব ছিল। দস্যুরা জেলেদের ট্রলারে হামলা চালিয়ে জাল ও মাছ লুট করে নিত। এমনকি দস্যুরা জেলেদেরকে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায় করতো। মুক্তিপণ না পেলে জেলেদের হত্যা করে লাশ নদীতে ভাসিয়ে দিতো দস্যুরা।

সরকারের ঘোষণায় দস্যুরা আত্মসমর্পণ করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসেছে। সেই সুন্দরবন এখন শান্ত, নেই দস্যুদের তৎপরতা। সুন্দরবনের বাঘসহ বনের সম্পদ রক্ষায় সরকার নানা পদক্ষেপ নিয়ে বাস্তবায়ন করছে। সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ বাস্তবায়নের ফলে সুন্দরবনে বন্যপ্রাণীর সংখ্যাও বৃদ্ধি পাচ্ছে।

এছাড়া, সুন্দরবনে টেলিটকের মোবাইল নেটওয়ার্ক স্থাপন করা হয়েছে।

আইনশৃঙ্খলা

এক সময়ে বাগেরহাটে নিষিদ্ধ ঘোষিত চরমপন্থী ও সর্বহারাদের দৌরাত্ম্য ছিল চরমে। বিভিন্ন সময়ে জেলার বেশ কয়েকজন জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব প্রাণ হারান নিষিদ্ধ ঘোষিত বাহিনীর সদস্যদের হাতে। বর্তমানে সরকার ক্ষমতায় এসে এই বাহিনীর দৌরাত্ম্য অনেকটাই কমেছে।

বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোহা. খালিদ হোসেন বলেন, বাগেরহাট জেলায় বিভিন্ন ক্ষেত্রে ধারবাহিকভাবে নানা উন্নয়মূলক কর্মকাণ্ড বাস্তবায়ন করছে সরকার। শহর থেকে শুরু করে গ্রামগঞ্জে সর্বত্রই উন্নয়ন করা হয়েছে। স্বাস্থ্য, শিক্ষা, সামাজিক নিরাপত্তা, বিদ্যুৎ, নিরাপত্তা, সড়ক, নৌ যোগাযোগ, রেল যোগাযোগ ও অবকাঠামোসহ সর্বক্ষেত্রেই বাগেরহাটে উন্নয়ন ঘটেছে।

তিনি আরও বলেন, জেলার সব শ্রেণিপেশার মানুষ উন্নয়নের সফলতা পাচ্ছেন। এছাড়া বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প চলমান রয়েছে। পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় বাগেরহাটের মানুষ তার সুফল পাচ্ছেন। মোংলা বন্দরে দেশি-বিদেশি জাহাজের আগমন বেড়েছে। নানাভাবেই বাগেরহাটের মানুষের আর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটেছে।

বাগেরহাটের প্রত্যন্ত অঞ্চলের বিভিন্ন শ্রেণিপেশার বেশকয়েকজন নারী-পুরুষের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, আগে তাদের এলাকায় কাদামাটির রাস্তা ছিল। বাড়িতে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা ছিল না। তাদের মতো এলাকার অনেকের খেয়ে, না খেয়ে দিন গেছে। এখন তাদের এলাকায় পিচ ঢালা রাস্তার উপর দিয়ে বিভিন্ন ধরনের যানবাহন চলাচল করে। এলাকার সব বাড়িতেই বিদ্যুতের আলো জ্বলছে।

ভূমি ও গৃহহীন পরিবারগুলো সরকারের দেওয়া জমিসহ পাকাবাড়িতে বসবাস করছে। গ্রামের অনেক দরিদ্র মানুষ সরকারের দেওয়া স্বল্প মূল্যে খাদ্য সহায়তা পাচ্ছে। গ্রামে বসবাস করেও তারা শহরের অনেক সুযোগ সুবিধা পাচ্ছে। তাদের গ্রামে রীতিমতো শহরের হাওয়া লেগেছে। তাদের এলাকার প্রতিটি পরিবার মোবাইল এবং ইন্টারনেটের সুবিধা ভোগ করছে। সব ক্ষেত্রেই তারা উন্নয়নের সুফল পাচ্ছে।

তারা আরও জানান, পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় তাদের এলাকার বিভিন্ন কৃষি পণ্য এখন সরাসরি ঢাকায় বিক্রি হচ্ছে। নানাভাবে এলাকার সব মানুষের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটেছে। একসময় অনেক কষ্টে দিন গেলেও এখন তারা সংসারের খরচ মিটিয়ে সঞ্চয় করছেন।

বাগেরহাট জেলা চিংড়ি চাষি সমিতির সভাপতি ফকির মহিতুল ইসলাম সুমন বলেন, বর্তমান সরকারের ১৫ বছরে জেলাজুড়ে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। গ্রামের প্রত্যন্ত মানুষ শহরের সুবিধা পেতে শুরু করেছে। সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে মানুষের কাছে সবকিছু অনেক সহজ হয়ে গেছে।

তিনি আরও বলেন, গ্রামের মানুষ এখন ডিজিটাল সেবা পাচ্ছে। ইউনিয়ন পরিষদ থেকে সেবার ক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যবহার করা হচ্ছে। বিশেষ করে চিংড়ি চাষের ক্ষেত্রে বিভিন্ন অ্যাপ ব্যবহার করা হচ্ছে। সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের কারণে তাদের উৎপাদন করা কৃষিপণ্য এবং চিংড়িসহ বিভিন্ন মাছ সহজে বাজারজাত করতে পারছেন।

বাগেরহাট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ কামরুজ্জামান টুকু বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর যে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড হয়েছে তা তুলনাবিহীন। জেলার প্রায় প্রতিটি ঘরেই বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়েছে। মোংলাবন্দরকে কেন্দ্র করে ব্যাপক কর্মযোগ্য সৃষ্টি হয়েছে। বেড়েছে মানুষের কর্মতৎপরতা।’

তিনি আরও বলেন, ‘সড়ক, শিক্ষা, বিদ্যুৎ,সামাজিক বেষ্টনীসহ সবক্ষেত্রেই ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। প্রত্যন্ত গ্রামের মানুষ শহরের অনেক সুবিধা পাচ্ছে। একই সঙ্গে গ্রামের দুরদুরান্তের মানুষ শহরে এসে কাজ করে অল্প সময়ের মধ্যে ফিরে যেতে পারছেন। সরকারের ১৫ বছরের ধারাবাহিক উন্নয়নে দেশের অবহেলিত মানুষের সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধি পেয়েছে। পদ্মা সেতু চালু হওয়ার কারণে বাগেরহাট থেকে উৎপাদিত কৃষিপণ্য এবং মৎস্যপণ্য দ্রুত রাজধানীতে পৌঁছে যাচ্ছে। উন্নয়নের এই ধারাবাহিকতা চলমান থাকলে এক সময়ের অবহেলিত বাগেরহাট আরো উন্নত হবে সে বিষয়ে সন্দেহ নেই।’

——ইউএনবি