নিজস্ব প্রতিবেদক.
ভূমিধস বিজয়ে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন তাবিথ আউয়াল। শনিবার (২৬ অক্টোবর) রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে দুপুর ২টা থেকে শুরু হয়ে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চলে ভোট প্রদান। ১৩৩ জন কাউন্সিলরের মধ্যে ১২৮ জন ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন।
নির্বাচনে সভাপতি পদে মোট ভোট পড়েছে ১২৮টি। এর মধ্যে ১২৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন তাবিথ আউয়াল। তাঁর বিপক্ষে সভাপতি পদে নির্বাচন করা একমাত্র প্রার্থী মিজানুর রহমান চৌধুরী পেয়েছেন মাত্র ৫ ভোট। সকাল ১০টায় শুরু হয়ে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চলেছে ভোট গ্রহণ।
টানা ১৬ বছর বাফুফের সভাপতি ছিলেন বাংলাদেশের কিংবদন্তি ফুটবলার সালাহউদ্দিন। কিন্তু এবার তিনি নির্বাচনেই দাঁড়াননি। ফলে এবারের নির্বাচনের সবার দৃষ্টি ছিল সভাপতি পদের দিকেই। লড়াইয়ে ছিলেন তাবিথ আউয়াল ও মিজানুর রহমান চৌধুরী। তাবিথ সাবেক ফুটবলার, তিনি সালাহউদ্দিনের সময় একাধিকবার বাফুফের সহসভাপতি ছিলেন। মিজানুর রহমান দিনাজপুর জেলার ফুটবল সংগঠক। সভাপতি পদে তাঁর নির্বাচন করাটাই ছিল চমক। এই পদের জন্য আরও দুজন মনোনয়নপত্র জমা দিলেও পরে তাঁরা প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেন।
তাবিথ আউয়াল আগামী চার বছরের জন্য বাফুফের সভাপতি থাকবেন। নির্বাহী কমিটির ২১ পদের মধ্যে ২০টির বিপরীতে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন ৪৬ জন প্রার্থী। সভাপতি পদের ২ জন ছাড়াও ৪ সহসভাপতি পদে ৬ জন ও ১৫টি সদস্য পদে নির্বাচন করেছেন ৩৭ জন। আলোচিত সংগঠক তরফদার রুহুল আমিন প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেওয়ায় সিনিয়র সহসভাপতি পদে আগেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে গেছেন ইমরুল হাসান।
প্রার্থীতা চূড়ান্ত হওয়ার পর থেকেই কোনও হেভীওয়েট প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় তেমন জোড়েসোরে প্রচারণায় দেখা যায়নি তাবিথকে। আত্মবিশ্বাসী ছিলেন তিনি নিজেও। জানতেন অঘটন না ঘটলে ভোটে জয়ী হতে চলেছেন তিনি। বাফুফের সভাপতি হয়ে দেশের ফুটবলকে এগিয়ে নিতে চান বলে জানিয়েছেন সাবেক এই ফুটবলার।
তিনি বলেন, ২০০৮ সালের ২৮ এপ্রিল বাফুফে সভাপতির দায়িত্ব নেন কাজী সালাউদ্দিন। সেই থেকে আজ পর্যন্ত টানা ১৬ বছর বাফুফেতে রাজত্ব করেছেন তিনি। আজ তার যবনিকাপাত হলো। বাফুফে পেল নতুন সভাপতি। নতুন নেতৃত্বে দেশের ফুটবল কোন পথে হাটে এটা সময়ই বলে দেবে।
আরও পড়ুন
আশুলিয়ায় মরদেহ পোড়ানোর মামলায় কনস্টেবল মুকুল কারাগারে
শীতে শিশুদের সুস্থ রাখবে যেসব খাবার
দীর্ঘদিন পর ফেরা তারকারা