ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকে ২৩৭ জন প্রার্থী ঘোষণা করেছে বিএনপি। এদের মধ্যে রয়েছেন দলের দ্বিতীয় প্রজন্মের এক ঝাঁক তরুণ ও অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদদের সন্তানরা। নিজেদের বাবার রাজনৈতিক উত্তরাধিকার বহন করে তারা এবার ভোটের মাঠে নামছেন।
পঞ্চগড়-১ আসনে প্রার্থী হয়েছেন সাবেক স্পিকার ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য জমিরউদ্দিন সরকারের ছেলে মোহাম্মদ নওশাদ জমির। তিনি দলের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক সম্পাদক।
প্রয়াত প্রতিমন্ত্রী ফজলুর রহমান পটলের মেয়ে ফারজানা শারমিন পুতুল নাটোর-১ আসনে বিএনপির টিকিট পেয়েছেন। তিনি আইনজীবী ও নাটোর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক।
সাবেক এমপি আব্দুর রউফ চৌধুরীর ছেলে রাগীব রউফ চৌধুরী এবার কুষ্টিয়া-২ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী। তিনি সুপ্রিম কোর্টে দুদকের প্যানেল আইনজীবী।
সাবেক মন্ত্রী তারিকুল ইসলামের ছেলে অনিন্দ্য ইসলাম অমিত যশোর-৩ আসনে প্রার্থী হয়েছেন। তিনি খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এবং ২০১৮ সালেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন।
সাবেক এমপি সালাউদ্দিন আহমেদের ছেলে তানভীর আহমেদ রবিন এবারও ধানের শীষের প্রার্থী। তিনি ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব।
অবিভক্ত ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার ছেলে প্রকৌশলী ইশরাক হোসেন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন ঢাকা-৬ আসনে।
সাবেক মন্ত্রী কে এম ওবায়দুর রহমানের মেয়ে শামা ওবায়েদ ফরিদপুর-২ আসনে আবারও প্রার্থী হয়েছেন। তিনি বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক।
সাবেক ত্রাণমন্ত্রী চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফের মেয়ে চৌধুরী নায়াব ইউসুফ ফরিদপুর-৩ আসনে লড়বেন। সাবেক অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমানের ছেলে নাসের রহমান ধানের শীষে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন মৌলভীবাজার-৩ আসনে।
সাবেক প্রতিমন্ত্রী মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিনের ছেলে মীর হেলাল উদ্দিন প্রার্থী হয়েছেন চট্টগ্রাম-৫ আসনে। বিএনপির প্রয়াত স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরী চট্টগ্রাম-৭ আসনে প্রার্থী।
সাবেক প্রতিমন্ত্রী জাফরুল ইসলাম চৌধুরীর ছেলে মিশকাতুল ইসলাম চৌধুরী (পাপ্পা) ধানের শীষের প্রার্থী হয়েছেন চট্টগ্রাম-১৪ আসনে। সাবেক মন্ত্রী আ স ম হান্নান শাহ’র ছেলে শাহ রিয়াজুল হান্নান রিয়াজ এবার লড়বেন গাজীপুর-৪ আসনে।
সাবেক শিল্পমন্ত্রী শামসুল ইসলাম খানের ছেলে মঈনুল ইসলাম খান প্রার্থী হয়েছেন মানিকগঞ্জ-২ আসনে। সাবেক এমপি আনওয়ারুল হোসেন খান চৌধুরীর ছেলে ইয়াসের খান চৌধুরী প্রার্থী হয়েছেন ময়মনসিংহ-৯ আসনে।
সাবেক এমপি সিরাজুল হকের ছেলে মাহমুদুল হক রুবেল শেরপুর-৩ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী। সাবেক হুইপ জাহেদ আলী চৌধুরীর ছেলে ইঞ্জিনিয়ার ফাহিম চৌধুরী বিএনপির প্রার্থী হয়েছেন শেরপুর-২ আসনে।
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হযরত আলীর মেয়ে ডা. সানসিলা জেবরিন প্রিয়াঙ্কা পেয়েছেন মনোনয়ন। ২০১৮ সালে তিনি ছিলেন বিএনপির সর্বকনিষ্ঠ প্রার্থী। সাবেক এমপি শহিদুল ইসলাম মাস্টারের ছেলে মেহেদী হাসান ধানের শীষের প্রার্থী হয়েছেন ঝিনাইদহ-৩ আসনে।
সাবেক মেয়র আব্দুল মান্নানের ছেলে এম মঞ্জুরুল করিম রনি প্রার্থী গাজীপুর-২ আসনে। সাবেক এমপি নুরুল ইসলাম মঞ্জুরের ছেলে আহমেদ সোহেল মঞ্জু সুমন পিরোজপুর-২ আসনে বিএনপির টিকিট পেয়েছেন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, বিএনপি এবার অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদদের উত্তরসূরিদের প্রাধান্য দিয়ে “পরবর্তী প্রজন্মের নেতৃত্ব গড়ে তোলার” কৌশল নিয়েছে। এতে একদিকে যেমন ঐতিহ্য রক্ষা হচ্ছে, অন্যদিকে নতুন প্রজন্মের রাজনীতিবিদদের জন্যও পথ খুলে যাচ্ছে।
এনএনবাংলা/

                
আরও পড়ুন
টকশোতে কথার ফুলঝুড়ি: রুমিন ফারহানাকে ধানের শীষের যোগ্য মনে করেনি বিএনপি
খালেদা জিয়ার আসনে প্রার্থী দেবে না এনসিপি: নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী
জলবায়ু অর্থায়নের ৮৯১ প্রকল্পে ২ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি: টিআইবি