বাবুগঞ্জ(বরিশাল) প্রতিনিধি: চেক ডিজঅনার মামলায় ১জনকে এক বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও চেকের সম পরিমান জরিমানা করা হয়েছে। যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারপতি জাহিদুল আজাদ ওই রায় দেন। দন্ডপ্রাপ্ত আসামী হচ্ছে বাবুগঞ্জের রহমতপুর ইউনিয়নের কিশোর কুমারের স্ত্রী মলিনা রানী দাসকে চেক ডিজ অনার মামলায় ১ বছরের সশ্রম কারাদন্ড ১৩ লাখ ৫০ হাজার ৩৮৫ টাকা জরিমানা করা হয়। রায় ঘোষণার সময় আসামী পলাতক থাকায় বিচারক গ্রেফতারী পরোয়ানা জারীর নির্দেশ দেন।
মামলার নথি সুত্রে জানা গেছে, মামলার আসামী মলিনা রানী দাস পাওনা টাকা পরিশোধ করার জন্য ২২ সালের ২০ নভেম্বর তার নিজ নামের পরিচালিত রূপালী ব্যাংক লিঃ রহমতপুর- বরিশাল শাখার সঞ্চয় হিসাব নং ১৬৫২৭ এর ১৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার একটি চেক একই এলাকার রহমতপুর বাজারের ব্যবসায়ী কাওসার মাহমুদকে প্রদান করেন। চেক নম্বর ৯১৯৫৮৮৫। ২২ সালের ২৮ নভেম্বর সংশ্লিষ্ট ব্যাংকে কাওসার মাহমুদ চেকটি জমা দিলে অপরপ্ত তহবিল মন্তব্যে ডিজ অনার হয়। এক মাসের সময় সীমা দিয়ে ডাকের মাধ্যমে আসামীর কাছে লিগ্যাল নোটিশ প্রদান করেন। আসামী লিগ্যাল নোটিশ সম্পর্কে অবগতি হওয়ার পরেও টাকা পরিশোধ না করায় ২৩ সালের ১০ জানুয়ারি বিজ্ঞ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতে ১৮৮১ সালের এনআই একটের ১৩৮ ধারায় একটি মামলা করেন কাওসার মাহমুদ। পরবর্তীতে বিজ্ঞ আদালত নিষ্পত্তির জন্য যুগ্ন জেলা ও দায়রা জজ আদালতে মামলা বদলি করেন। দীর্ঘ ২ বছর ৫ মাস পরে মামলাটি সাক্ষী প্রমাণের ভিত্তিতে পর্যালোচনা করে ১৮৮১ সালের ১৩৮ ধারার বর্ণিত অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করে আসামি মলিনা রানীর বিরুদ্ধে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ডে দন্ডি করেন ও চেকে উল্লেখিত ১৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারীর নির্দেশ দেন।
মামলার বাদী কাওসার জানান, সৌরভ দাসের সাথে সুসম্পর্ক থাকার কারনে সৌরভ ও তার মাকে বিভিন্ন সময়ে টাকা ধার দিতাম এবং সময় মতো টাকা ফেরত পেতেন। ২২ সালে ১৩ লক্ষ ৫০ হাজর টাকা ধার নিয়ে নগদ অর্থ পরিষদের পরিবর্তে মলিনা রানী চেক প্রদান করেন। উক্ত টাকা ওই একাউন্টে না থাকার কারণে চেকটি অপরপ্ত তহবিল মর্মে ডিজওনার হয়ে যায়। পরবর্তীতে টাকা না দিয়ে তালবাহানা করার কারণে আমি একটি মামলা দায়ের করি। এছাড়াও সৌরভ মোবাইল ব্যাংকিং সেবা নগদের ডিএসও থাকার কারনে আমার কাছ থেকে আরো ১১ লক্ষ টাকা এবং বাজারে বিভিন্ন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ২০ লক্ষ টাকা নিয়ে সৌরভ পালিয়ে যায়। রহমতপুর বাজারের মোবাইল ব্যাংকিং ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী মিল্টন কাজী জানান, মোবাইল ব্যাংকিং সেবা নগদের ডিএসও সৌরভ রহমতপুর বাজারের বিভিন্ন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে প্রায় ২০ লক্ষ টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। তার মধ্যে আমার ছিলো এক লক্ষ ৭৯ হাজার টাকা। তখন এয়ারপোর্ট থানায় তৎকালিন একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। এখন পর্যন্ত আমার টাকা আমি ফেরত পাইনি। আমি প্রতারক পরিবারের বিচার দাবি করি। বরিশাল এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি জাকির সিকদার বলেন, গ্রেফতারী পরোয়ানা হাতে পেলে অবশ্যই গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করা হবে।
আরও পড়ুন
খুলনায় প্রেস সচিবকে আটকে রেখেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ও এনসিপির নেতা কর্মীরা
খুলনার উন্নয়নে অন্তর্বর্তী সরকারের বিশেষ দৃষ্টি আছে: প্রেস সচিব
কুড়িগ্রামের সোনাহাট স্থলবন্দর সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ