বাবুগঞ্জ (বরিশাল) প্রতিনিধি॥ বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার কেদারপুর ইউনিয়নে সন্ধ্যা নদীর সংযোগ খাল থেকে অজ্ঞাত এক নারীর অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধারের এক দিন পর পরিচয় মিলেছে। তবে হত্যাকান্ডের রহস্য এখনও উন্মোচন হয়নি। এখন পর্যন্ত এই ঘটনায় কেউ গ্রেফতার হয়নি। বাবুগঞ্জ থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) আনোয়ারুল হক এই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। পুলিশ জানায়, নিহত ওই নারীর নাম জেসমিন আক্তার (৩০)। সে বরিশাল সদর উপজেলার মৃত আঃ খালেক খানের মেয়ে। নিহত জেসমিন আক্তার কাশিপুর এলাকায় তার মায়ের সাথে থাকতেন।
গত ২১ এপ্রিল সকালে অফিসে যাওয়ার পর জেসমিন আর বাসায় ফেরেননি। সে অমৃত কনজুমার ফুড প্রোডাক্টসের কারখানায় চাকরি করতেন। চার বছর আগে বাবুগঞ্জ উপজেলার হায়তার আলীর সাথে তার বিয়ে হয়। তার দুই বছরের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। বাবুগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আনোয়ারুল হক বলেন, জেসমিন আক্তার মরদেহ উদ্ধারের পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তার পরিচয় জানার চেষ্টা করেন। পরে মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। তারপর স্বজনরা জানতে পেয়ে প্রথমে সাইট ব্যাক পরে মৃতদেহ দেখে সনাক্ত করেন। পরে ময়নাতদন্তের কাজ শেষে পরিবারের সদস্যদের কাছে মৃতদেহ হস্তাস্তর করা হয়েছে। এঘটনায় নিহতের বড় ভাই সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে বাবুগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। এখন পর্যন্ত কাউকে এই বিষয়ে গ্রেফতার করা হয়নি। উল্লেখ্য, গত ২৫ এপ্রিল বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার কেদারপুর ইউনিয়নে সন্ধ্যা নদীর সংযোগ খাল থেকে অজ্ঞাত এক নারীর অর্ধগলিত মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন
হালদার পাড়ে তামাক চাষ বন্ধ করতেই হবে: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা
সৎ নেতৃত্ব ও ইসলামী অনুশাসন ছাড়া মানবতার প্রকৃত মুক্তি সম্ভব নয়: গোলাম পরওয়ার
সহিংসতার দিকে যাচ্ছে সিলেটের শ্রমিকদের আন্দোলন