December 18, 2025

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Thursday, December 18th, 2025, 8:13 pm

বায়ুদূষণে বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ায় বছরে ১০ লাখ মৃত্যু: বিশ্বব্যাংক

 

দক্ষিণ এশিয়ার ইন্দো-গাঙ্গেয় সমভূমি ও হিমালয়ের পাদদেশে (আইজিপি-এইচএফ) বায়ুদূষণ মানুষের স্বাস্থ্য ও অর্থনৈতিক উৎপাদনশীলতার ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলছে। বিশ্বব্যাংকের নতুন প্রতিবেদন অনুসারে, এই অঞ্চলের প্রায় ১০০ কোটি মানুষ প্রতিদিন অস্বাস্থ্যকর বাতাসে শ্বাস নিচ্ছে এবং প্রতিবছর প্রায় ১০ লাখ মানুষ অকালমৃত্যুর শিকার হচ্ছে।

বিশ্বব্যাংকের প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বায়ুদূষণ এই অঞ্চলের সবচেয়ে গুরুতর উন্নয়ন চ্যালেঞ্জগুলোর মধ্যে একটি। প্রতিবছর এর কারণে আঞ্চলিক মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রায় ১০ শতাংশ ক্ষতি হচ্ছে।

বায়ুদূষণের মূল উৎস হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে: রান্না ও গরম করার জন্য কঠিন জ্বালানি পোড়ানো, জীবাশ্ম ও জৈববস্তুপুঞ্জ পোড়ানো, অদক্ষ যানবাহন ব্যবহার, কৃষি অবশিষ্টাংশ পোড়ানো, সার ব্যবস্থাপনার দুর্বলতা এবং বর্জ্য পোড়ানো।

প্রতিবেদনটি পরিষ্কার বাতাস নিশ্চিত করার জন্য তিনটি মূল সমাধানের ওপর জোর দিয়েছে। প্রথমত, নির্গমন হ্রাস – রান্না, শিল্প, পরিবহন, কৃষি ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় দূষণ উৎসে হ্রাস। দ্বিতীয়ত, সুরক্ষা ব্যবস্থা – স্বাস্থ্য ও শিক্ষাব্যবস্থাকে শক্তিশালী করে ঝুঁকিপূর্ণ সম্প্রদায়কে রক্ষা। তৃতীয়ত, নীতি ও বাস্তবায়ন শক্তিশালী করা – নিয়ন্ত্রক কাঠামো, বাজারভিত্তিক উদ্যোগ ও আঞ্চলিক সমন্বয়।

বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র পরিবেশগত অর্থনীতিবিদ মার্টিন হেগার বলেন, “সমাধানগুলো নাগালের মধ্যে রয়েছে। নীতি ও সিদ্ধান্ত গ্রহণকারীদের জন্য এটি একটি বাস্তব রোডম্যাপ। পরিবার, কৃষক ও সরকারদের ক্লিন প্রযুক্তি ও অনুশীলন গ্রহণের জন্য শক্তিশালী আর্থিক ও সামাজিক যুক্তি রয়েছে।”

দক্ষিণ এশিয়ার পরিবেশ অনুশীলন ব্যবস্থাপক অ্যান জেনেট গ্লোবার মন্তব্য করেন, “স্থানীয়, জাতীয় ও আঞ্চলিক পর্যায়ে অব্যাহত সহযোগিতা, টেকসই অর্থায়ন এবং শক্তিশালী বাস্তবায়নের মাধ্যমে লাখ লাখ জীবন বাঁচানো সম্ভব এবং সবার জন্য ক্লিন এয়ার নিশ্চিত করা যায়।”

বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে দেশের সরকারগুলোকে সমাধান কার্যকর করতে চারটি মূল দিকের ওপর জোর দিতে বলা হয়েছে: তথ্যের প্রবেশগম্যতা, পরিবেশবান্ধব আচরণ ও বিনিয়োগ, কাজের সমন্বয় ও বাস্তবায়ন, এবং আধুনিক ও দক্ষ শিল্প ও অবকাঠামো গড়ে তোলা।

এনএনবাংলা/