অনলাইন ডেস্ক :
বায়ুদূষণ শ্বাসনালির সংক্রমণ, হৃদরোগ, দীর্ঘস্থায়ী অবরোধক ফুসফুসের ব্যাধি, স্ট্রোক এবং ফুসফুসের ক্যান্সারসহ দূষণজনিত বেশ কয়েকটি রোগের জন্য উল্লেখযোগ্য ঝুঁকি। ইইএ বলছে, শিশুদের অকালমৃত্যুর সংখ্যা খুব বেশি না হলেও জীবনের একেবারের শুরুর দিকে মৃত্যুর কারণে ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা নষ্ট হচ্ছে।
এ ছাড়া শিশুরা দীর্ঘস্থায়ী অসুখে ভুগছে। বায়ুদূষণের কারণে বুদ্ধি হ্রাস, মেধার দুর্বলতা, মানসিক ব্যাধি যেমন বিষণ্ণতা এবং প্রসবকালীন ক্ষতিকারক স্বাস্থ্যঝুঁকিও হতে পারে। মানুষের স্বাস্থ্যের ওপর বায়ু দূষণের প্রভাব সুদূরপ্রসারী। এ ছাড়া ফুসফুসের কার্যকারিতা হ্রাস, শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ ও অ্যালার্জির কারণ হতে পারে বায়ুদূষণ। বায়ুদূষণের কারণে অ্যাজমা রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।
বর্তমানে ইউরোপের প্রায় ৯ শতাংশ শিশু ও কিশোর-কিশোরী অ্যাজমায় আক্রান্ত। ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৭টি সদস্যরাষ্ট্রসহ মোট ৩০টি দেশের তথ্য নিয়ে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে ইইএ। তবে রাশিয়া, যুক্তরাজ্য ও ইউক্রেনের মতো শিল্পখাতে উন্নত দেশের তথ্য অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। সে কারণে পুরো ইউরোপে মৃত্যুর সংখ্যা আরো বেশি হবে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। মধ্য-পূর্ব ইউরোপ ও ইটালিতে বায়ুদূষণ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নীতিমালার চেয়ে বেশি বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে যে দেশগুলোর তথ্য অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে সেসব দেশের শহরাঞ্চলে বাস করা প্রায় ৯৭ শতাংশ মানুষ গত বছর যে বাতাস গ্রহণ করেছেন, তা ডাব্লিউএইচও-র মানদ-ের শর্ত পূরণ করেনি বলেও জানিয়েছে ইইএ। বায়ুদূষণ থেকে শিশুদের বাঁচাতে স্কুলের আশপাশে সবুজ এলাকা বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছে ইইএ।
সূত্র : ডয়চে ভেলে
আরও পড়ুন
রাজ্যসভার সদস্য হলেন হর্ষবর্ধন শ্রিংলা
পরিবারের ইচ্ছায় ধর্ষককে প্রকাশ্যে ফাঁসিতে ঝুলাল ইরান
অবশেষে অস্ত্র সমর্পণ করতে যাচ্ছে পিকেকে