দেশে ও দেশের বাইরে আলোচিত সীমান্ত হত্যার শিকার ফেলানী খাতুনের ছোট ভাই আরফান হোসেন (২০) এবার নিজেই সীমান্ত রক্ষার দায়িত্ব পেয়েছেন। তিনি চাকরি পেয়েছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশে (বিজিবি)।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে লালমনিরহাটের ১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অধিনায়ক লে. কর্নেল মেহেদী ইমাম প্রশিক্ষণের জন্য চূড়ান্ত নিয়োগপত্র আরফানের হাতে তুলে দেন। এ সময় ফেলানীর বাবা নূর ইসলামসহ বিজিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ফেলানীর বাবা নূর ইসলাম বলেন, আমার মেয়ে হত্যার বিচার আজও পাইনি। তবে ছেলে যোগ্যতার প্রমাণ রেখে বিজিবির সিপাহী পদে নিয়োগ পেয়েছে। বিজিবি আমাকে একটি মুদি দোকান করে দিয়েছে। সেই দোকানের আয় দিয়েই এখন সাত সদস্যের সংসার চলে।
এ সময় মেয়ের হত্যার নির্মম ঘটনার স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে তিনি আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। তিনি বলেন, ২০১১ সালে ৭ জানুয়ারি ১৪ বছরের মেয়ে ফেলানী খাতুনকে নিয়ে সীমান্ত পাড়ি দিচ্ছিলেন। দেশে ফিরে ৮ জানুয়ারি বিয়ের হওয়ার কথা ছিল ফেলানীর। ঘটনার দিন ভোরবেলায় সীমান্তে মই বেয়ে কাঁটাতার টপকে যান ফেলানীর বাবা। বাবার পরে টপকাতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হন ফেলানী। এতে কাঁটাতারে ঝুলন্ত অবস্থায় নির্মমভাবে মৃত্যু হয় তার। এরপর ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাঁটাতারের সঙ্গে ঝুলে থাকে ফেলানীর লাশ। সেই ঘটনার পর থেকে বিজিবি ফেলানীর পরিবারের পাশে ছিল বলেও জানান তিনি।

ফেলানীর ছোট ভাই আরফান হোসেন বলেন, প্রশিক্ষণ নিয়ে অন্য বিজিবির সদস্যের মতো তিনিও দেশের সীমান্ত রক্ষায় কাজ করবেন। বড় বোন ফেলানী যখন মারা যান; তখন তিনি ছোট।
প্রসঙ্গত, ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ি উপজেলার অনন্তপুর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত হন কিশোরী ফেলানী খাতুন। বিএসএফ ১৮১ ব্যাটালিয়নের চৌধুরীহাট ক্যাম্পের সদস্যরা এই হত্যাকাণ্ড ঘটায়। ফেলানীর লাশ কমপক্ষে পাঁচ ঘণ্টা কাঁটাতারে ঝুলে ছিল। সেই ছবি দেশ-বিদেশের সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হলে সমালোচনার ঝড় উঠে।
এনএনবাংলা/
আরও পড়ুন
অমর একুশে বইমেলা শুরু এ বছরের ১৭ ডিসেম্বর
হাসিনার পতনের আগেই ড. ইউনূসকে সরকারপ্রধান হওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়: নাহিদ
শুক্রবার ৮ ঘণ্টা গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে যেসব এলাকায়