October 17, 2025

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Thursday, October 16th, 2025, 4:40 pm

বিকেল ৫টা পর্যন্ত সময় বেঁধে দিলেন আন্দোলনরত শিক্ষকরা

 

বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলন পঞ্চম দিনে প্রবেশ করেছে। আজও তারা অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন। আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, বিকেল ৫টার মধ্যে তাদের দাবির বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত না এলে তারা ‘মার্চ টু যমুনা’ কর্মসূচি পালন করবেন।

আজ বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) দুপুরে শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক চৌধুরী রফিকুল আবরারের সঙ্গে আলোচনা শেষে এই ঘোষণা দেন এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের সদস্য সচিব অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেন আজীজি।

১৫ সদস্যের প্রতিনিধি দল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে আলোচনা অংশ নিলেও আন্দোলনকারীরা অভিযোগ করেছেন, আলোচনায় কোনো বাস্তব অগ্রগতি হয়নি।

অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেন আজীজি বলেন, “এটা আলোচনার নামে প্রহসন। আমরা যে দাবি নিয়ে বসেছিলাম, সেখানে কোনো ইতিবাচক সাড়া মেলেনি। তাই দাবি না মানা পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।”

তিনি এ সময় দাবিগুলো পুনরায় তুলে ধরেন:

তিনটি দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে

এই মাস থেকেই কার্যকর করতে হবে, আগামী বাজেটের জন্য নয়

বিকেল ৫টার মধ্যে কোনো সিদ্ধান্ত না আসলে মার্চ টু যমুনা কর্মসূচি পালন করা হবে

শিক্ষক নেতারা দীর্ঘদিন ধরে বাড়িভাড়া, টিফিন ও উৎসব ভাতা বৃদ্ধির দাবি জানিয়ে আসছেন। তাদের দাবি: বাড়িভাড়া ২০ শতাংশে উন্নীত করা, চিকিৎসা ভাতা ১৫০০ টাকা এবং কর্মচারীদের উৎসব ভাতা ৭৫ শতাংশে উন্নীত করা।

অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেন আজীজি বলেন, “আমরা শুরু থেকেই সরকারের কাছে শতাংশভিত্তিক বাড়িভাড়া বৃদ্ধির দাবি জানাচ্ছি। তবে সরকার ন্যূনতম ২ হাজার টাকা বাড়িভাড়া প্রস্তাব করেছে, যা আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়।”

অন্যদিকে, শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক চৌধুরী রফিকুল আবরার জানান, “শিক্ষকরা ২০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়িভাড়া চেয়েছেন। তবে সরকার আপাতত ৫ শতাংশ বা ন্যূনতম ২ হাজার টাকা সুপারিশ করছে। নতুন বেতন কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী আগামী বছর শিক্ষকদের আরও উন্নত কাঠামো দেওয়ার লক্ষ্য রয়েছে।”

কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচির পাশাপাশি সারা দেশের এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চলছে কর্মবিরতি। শিক্ষক নেতারা জানিয়েছেন, সরকার তাদের দাবি না মানলে তারা এক দফার আরও কঠোর কর্মসূচিতে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন।

এনএনবাংলা/