বিক্ষোভ-সংঘাতের জেরে পদত্যাগ করলেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলি। মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) দ্বিতীয় দিনের মতো বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে নেপাল। কারফিউ উপেক্ষা করেই দেশটির প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে চলে আন্দোলন। এর মধ্যেই প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে আগুন দেয়ার ঘটনাও ঘটে।
রাজধানী কাঠমান্ডুতে ব্যাপক সহিংস দুর্নীতিবিরোধী বিক্ষোভের দুই দিন পর মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করলেন কে পি শর্মা অলি। এই বিক্ষোভে এখন পর্যন্ত ১৯ জন নিহত হয়েছে।
‘জেন জেড প্রোটেস্ট’ বা জেন-জি বিক্ষোভ নামে পরিচিত এই আন্দোলনের একটি প্রধান দাবি ছিল ওলির পদত্যাগ। বিক্ষোভকারীদের নেপালির পার্লামেন্ট ভবনে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর ওলির পদত্যাগের ঘোষণা আসলো।

এদিকে, তীব্র বিক্ষোভ ও অগ্নিসংযোগে নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু ও আশপাশের এলাকায় অস্থিরতা ছড়িয়ে পড়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মন্ত্রীদের নিজ নিজ বাসভবন থেকে সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ৪ সেপ্টেম্বর থেকে নেপালে ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, ইনস্টাগ্রাম, ইউটিউবসহ ২৬টি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম বন্ধ করে দেয়া হয়।
সরকারের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) প্রথমে শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হলেও, একপর্যায়ে তা সহিংসতায় রূপ নেয়। বিক্ষোভকারীরা পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে পার্লামেন্টের সংরক্ষিত এলাকায় প্রবেশের চেষ্টা করলে শুরু হয় সংঘাত।
এনএনবাংলা/

আরও পড়ুন
ভোটের আগে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো করার চেষ্টা চলছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে পাকিস্তানের যৌথ বাহিনীর চেয়ারম্যানের সৌজন্য সাক্ষাৎ
মেট্রোরেলে দুর্ঘটনায় নিহতের পরিবার পাবে ৫ লাখ টাকা, দেওয়া হবে চাকরি