রংপুর ব্যুরো : রংপুরের পীরগাছায় হত্যার চেষ্টার বিচার চাইতে গিয়ে চাঁদাবাজির মামলার আসামী হয়েছেন কৈকুড়ি ইউনিয়ন বিএনপির নেতা সাইদুল ইসলাম। সেই মামলায় আবার স্বাক্ষী হয়েছেন ওই ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গতকাল শনিবার (১০ মে) দুপুরে উপজেলার চৌধুরানী বাজারে মামলা প্রত্যাহার, স্বাক্ষী হওয়া দুই নেতার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহন এবং মামলার বাদিকে গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে ওই ইউনিয়ন বিএনপির একাংশের নেতাকর্মী এবং সর্বস্তরের মানুষ।
জানা যায়, উপজেলার কৈকুড়ি ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী সাইদুল ইসলামের পোষ্য ভাই কথিত দরবেশ জিল্লুর রহমানের সাথে দীর্ঘদিন থেকে জমি-জমা নিয়ে বিরোধ ও মামলা-মোকদ্দমা চলছে। সম্প্রতি দরবেশ জিল্লুর রহমান তার ভাই সাইদুল ইসলামের উপর হামলা চালায় এবং চুরিকাঘাত করে। পরে সাইদুল ইসলাম ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হারুন অর রশিদ বাবুল, সাধারন সম্পাদক মুনছুর আলী মেম্বারসহ উপজেলা বিএনপি নেতৃবৃন্দকে জানিয়ে বিচার প্রার্থনা করেন। এরপর গত ৮ মে কথিত দরবেশ জিল্লুর রহমান বাদি হয়ে আদালতে সাইদুল ইসলামকে প্রধান আসামী করে একটি চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় ১ ও ২নং স্বাক্ষী করা হয় ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হারুন অর রশিদ বাবলু ও সাধারন সম্পাদক মুনছুর আলী মেম্বারকে। এতে উত্তাপ্ত হয়ে ওঠে বিএনপির নেতাকর্মী ও সাধারন মানুষ।
গতকাল শনিবার দুপুরে স্থানীয় চৌধুরাণী বাজারে মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। এতে বক্তব্য দেন, উপজেলা আহ্বায়ক কমিটির সাবেক সদস্য, ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি সাইদুল ইসলাম, ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক সাইফুল ইসলাম, ছাত্রদলের সাবেক জেলা সদস্য আয়নাল হক, ৬নং ওয়ার্ড সভাপতি জামাল উদ্দিন, ১ নং সভাপতি আতাউর রহমান আতা, ৫নং ওয়ার্ড সদস্য দলু মিয়া প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তাগণ বলেন, রাজনৈতিক বিরোধের জেরে কৈকুড়ি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক যোগসাজশে করে জিল্লুর রহমানকে বাদী করে সমাজ সেবক সাইদুল ইসলামের বিরুদ্ধে মিথ্যা চাঁদাবাজি মামলা করেছে। আমরা মামলাটি প্রত্যাহার চাই এবং বিএনপিকে ধ্বংস করা এ অপরাজনীতিবিদদের বহিষ্কার চাই।
ভূক্তভোগী সাইদুল ইসলাম বলেন, আমি সাধারন সম্পাদক প্রার্থী ছিলাম, আমাকে অল্প ভোটে হেরে দেয়া হয়েছে। আগামী আমি নির্বাচন করবো, তাই তারা আমার বিরুদ্ধে নানা ধরনের মামলা দিয়ে হয়রানীর চেষ্টা করছে। আমি নিরপেক্ষ তদন্ত বিচার দাবি করছি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কৈকুড়ী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হারুন অর রশিদ বাবলু বলেন, বিচার চাইছে ঠিক আছে, কিন্তু পরের মামলায় আমাকে স্বাক্ষী রাখার বিষয়ে জানি না। আমি স্বাক্ষী দেব কিনা তা জানিনা। তার আগেই মানববন্ধন করা হলো।
এ ব্যাপারে উপজেলা বিএনপির সভাপতি আমিনুল ইসলাম রাঙা বলেন, তারা ভাই-ভাই বিষয়। এখানে আমার ইউনিয়ন সভাপতি-সম্পাদক বিষয়টি জানে না তাদের স্বাক্ষী করা হয়েছে। তারা কোথায় স্বাক্ষী দিতে যাবে না।
আরও পড়ুন
শেরপুরের সীমান্তে ১৩৮৬ বোতল ভারতীয় মদ উদ্ধার
চট্টগ্রাম বন্দর হস্তান্তরের বিরুদ্ধে ফ্যাসিবাদ বিরোধী ছাত্র জনতার মানবন্ধন
সখীপুরে সাপের কামড়ে বৃদ্ধার মৃত্যু