বিতর্কিত কর্মকর্তারা যেন আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কোনোভাবেই দায়িত্ব পালন করতে না পারেন—এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান। তিনি বলেন, ইসি এ বিষয়ে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বলেও কমিশন তাদের আশ্বস্ত করেছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে সিইসির সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব তথ্য জানান আব্দুল মঈন খান।
তিনি বলেন, গত তিনটি জাতীয় নির্বাচনে ভোটের নামে হয়েছে প্রহসন। সেই সময় প্রশাসনে থাকা বহু কর্মকর্তা রাজনৈতিকভাবে পক্ষপাতদুষ্ট ভূমিকা পালন করেছিলেন। গত ১৫ বছরে প্রশাসন যে রাজনৈতিকভাবে গঠিত হয়েছে, তা ১৫ মাসে পরিবর্তন সম্ভব নয়—এই বিষয়টি আমরা ইসিকে অবহিত করেছি। আমাদের দাবি, যেন বিতর্কিত কোনো কর্মকর্তা আগামী নির্বাচনের দায়িত্বে না থাকেন।
বিএনপি নেতা বলেন, জাতীয় নির্বাচন একটি বিশাল কর্মযজ্ঞ। ৩০০ আসনে প্রায় ৪২ হাজার ভোটকেন্দ্র থাকবে, যেখানে প্রায় ১০ লাখ কর্মকর্তার প্রয়োজন হবে। এদের অনেকেই সিভিল প্রশাসন, পুলিশ ও বিচার বিভাগ থেকে আসেন। গত দেড় দশকে এই প্রশাসনিক কাঠামোকে রাজনৈতিকভাবে প্রভাবিত করা হয়েছে—এ বাস্তবতা ইসির বিবেচনায় রাখা দরকার।
সাংবাদিকদের ভূমিকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, গণমাধ্যম যেন স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে—এটা আমরা চাই। আমরা সংবাদপত্রের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী। দীর্ঘ ১৭ বছরের সংগ্রাম ও ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে যে অবস্থানে এসেছি, তা রক্ষায় সাংবাদিকদের অবাধ কাজের পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।
ড. মঈন খান আরও বলেন, নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব হলো একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজন করা। আমরা আশা করি, ইসি এবার এমন একটি উদাহরণ সৃষ্টি করবে, যা দেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রাকে সুসংহত করবে।
এনএনবাংলা/

আরও পড়ুন
ধ্বংস্তূপ থেকে আবার দেশকে টেনে তুলবে বিএনপি: তারেক রহমান
মোটরসাইকেলের মালিক সন্দেহে আটক সেই হান্নানের জামিন
শেখ হাসিনা পরিষদের সভাপতি ক্যাপ্টেন এম মোয়াজ্জেম গ্রেপ্তার