October 5, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Wednesday, December 6th, 2023, 8:30 pm

বিদেশি কর্মীদের জন্য সুখবর দিলো দক্ষিণ কোরিয়া

অনলাইন ডেস্ক :

উন্নত জীবনযাপনের পাশাপাশি ভালো পারিশ্রমিক পাওয়া যায় বলে, বর্তমানে সারাবিশ্ব থেকে হাজার হাজার মানুষ পূর্ব এশিয়ার দেশ দক্ষিণ কোরিয়ায় যেতে আগ্রহী। সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ থেকেও বহু কর্মী যাচ্ছেন দেশটিতে। এর মধ্যেই বিদেশি কর্মীদের জন্য বড় সুখবর দিলো দক্ষিণ কোরিয়া। অ-পেশাদার বিদেশি কর্মীদের জন্য ভিসার কোটা বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। পাশাপাশি দেশটিতে নতুন কর্মক্ষেত্রও সৃষ্টি করা হবে বলে জানিয়েছে দেশটির সরকার।

কম জন্মহার ও বয়স্ক মানুষের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার কারণে সৃষ্ট দীর্ঘস্থায়ী শ্রম ঘাটতি দূর করতেই এমন উদ্যোগ নিয়েছে এশিয়ার চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতির এ দেশটি। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম দ্য কোরিয়া ইকোনমিক ডেইলি (কেইডি গ্লোবাল) জানিয়েছে, বিদেশি কর্মীদের (অ-পেশাদার) জন্য ই-নাইন ভিসার কোটা আগামী বছর ৩৭ দশমিক ৫ শতাংশ বাড়িয়ে ১ লাখ ৬৫ হাজার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া সরকার। গত ২৭ নভেম্বর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

২০০৪ সালে দেশটির সরকার স্থানীয় কোম্পানি, বিশেষ করে ছোট ও মাঝারি আকারের কোম্পানিগুলোকে অ-পেশাদার বিদেশি কর্মী নিয়োগের অনুমতি দেওয়া শুরু করার পর থেকে এটিই ই-নাইন ভিসার কোটা বৃদ্ধির সবচেয়ে বড় ঘোষণা। নতুন বছরে যেসব খাতে কর্মী নিয়োগ করা হবে, তার মধ্যে উৎপাদন শিল্পে ৯৫ হাজার জন, কৃষিখাতে ১৬০০০, নির্মাণশিল্পে ৬ হাজার, মৎস্যখাতে ১০ হাজার জন, জাহাজ শিল্পে ৫ হাজার, সেবা খাতে ১৩ হাজার ও অন্যান্য প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী ২০ হাজার জনসহ মোট ১ লাখ ৬৫ হাজার কর্মী নিয়োগ দেওয়া হবে।

এ বিষয়ে দক্ষিণ কোরিয়া সরকারের নীতি সমন্বয়ক অফিসের মন্ত্রী বাং কি-সান বলেন, আগামী বছর ই-নাইন ভিসা ইস্যু বাড়ানো হবে। এটি কার্যকর করা হলে স্থানীয়দের এড়িয়ে যাওয়া চাকরির শূন্যপদ-সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি আসবে বলে আশা করি। এদিকে, দক্ষিণ কোরিয়া অভিবাসী শ্রমিকদের যোগ্য দেশগুলোর সংখ্যা বাড়ানোর জন্যও প্রস্তুত বলে জানা গেছে। দেশটির শ্রম মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, বর্তমানে ১৬টি দেশ থেকে কর্মী যায় দক্ষিণ কোরিয়ায়। তবে এখন ভারতসহ আরও ছয়টি দেশকে এ তালিকায় যুক্ত করার কথা বিবেচনা করা হচ্ছে। সূত্র: দ্য কোরিয়া ইকোনমিক ডেইলি