এপি, লন্ডন :
ওসামা বিন লাদেনের আত্মীয়দের কাছ থেকে এক মিলিয়ন পাউন্ড অনুদান হিসেবে গ্রহণ করেছেন- একটি সংবাদপত্রে এমন প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পর ব্রিটেনের প্রিন্স চার্লস তার দাতব্য সংস্থা নিয়ে আরও প্রশ্নের সম্মুখীন হচ্ছেন।
দ্য সানডে টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রিন্স অব ওয়েলসের চ্যারিটেবল ফান্ড ২০১৩ সালে এক সৌদি সমৃদ্ধ পরিবারের কর্তাব্যক্তি বাকের বিন লাদেন ও তার ভাই শফিকের কাছ থেকে তহবিলটি গ্রহণ করেন। তারা দুজনই আল-কায়েদার সাবেক নেতা ও ২০১১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ বাহিনীর হাতে পাকিস্তানে নিহতের সৎ ভাই।
সংবাদপত্রটি বলছে, উপদেষ্টারা অনুদান না নিতে চার্লসকে অনুরোধ করেছিলেন।
চার্লসের ক্লারেন্স হাউজ অফিস এ নিয়ে নানা বিতর্ক করলেও অনুদানটি সম্পন্ন হয়েছে বলে স্বীকার করেছে। তাদের দাবি, অর্থ গ্রহণের সিদ্ধান্ত প্রিন্স নয়, দাতব্য সংস্থার ট্রাস্টিরা নিয়েছিলেন।
‘জীবনের পরিবর্তন ও টেকসই কমিউনিটি গড়তে’ ১৯৭৯ সালে দ্য প্রিন্স অব ওয়েল’স চ্যারিটি ফান্ড প্রতিষ্ঠিত হয়।
৭৩ বছর বয়সী চার্লস তার দাতব্য সংস্থার কার্যক্রম নিয়ে একাধিক অভিযোগের মুখোমুখি হয়েছেন। গত মাসে সানডে টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, তিনি কাতারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হামাদ বিন জসিম বিন জাবের আল থানির কাছ থেকে নগদ তিন মিলিয়ন মার্কিন ডলারের ব্যাগ গ্রহণ করেছেন।
প্রিন্সের আরেকটি দাতব্য সংস্থার- প্রিন্স ফাউন্ডেশন-সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে তারা অনুদানের বিনিময়ে সম্মান ও নাগরিকত্ব পাওয়ার বিষয়ে এক সৌদি ধনকুবেরকে প্রস্তাব দিয়েছেন। বর্তমানে লন্ডন পুলিশ এ অভিযোগ তদন্ত করছে। তবে ক্লারেন্স হাউস বলছে, চার্লস এই ধরনের কোনো প্রস্তাবের বিষয়ে জ্ঞান না।

আরও পড়ুন
হাদিকে গুলি: মোটরসাইকেল মালিকের ৩ দিনের রিমান্ড
ওসমান হাদিকে গুলি করে ফয়সাল, মোটরসাইকেল চালাচ্ছিলেন আলমগীর: ডিএমপি
ডেঙ্গুতে একদিনে আরও ৫ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৩৮৭