বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বোয়িং ৭৮৭-৯ মডেলের আটকে পড়া উড়োজাহাজটি গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে ২৭৫ যাত্রী নিয়ে দেশে ফেরার কথা ছিল। কিন্তু যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে এটি দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গ্রাউন্ডেড করে রাখা হয়। এ ফ্লাইটের ২৭৫ জন যাত্রীর মধ্যে ৫৫ জন ঢাকার এবং বাকিরা চট্টগ্রামের। ফ্লাইটটিতে শিশু ও প্রবীণ যাত্রীও ছিলেন।
অবশেষে দীর্ঘ প্রায় ৩২ ঘণ্টা পর দুবাই থেকে দেশে ফিরছে বিমানের বোয়িং ৭৮৭-৯ মডেলের আটকে পড়া উড়োজাহাজটি। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত স্থানীয় সময় ভোর ৭টায় (বাংলাদেশ সময় ৯টায়) বিমানটি দেশের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিল।
বিমানের এ ফ্লাইট দুবাইয়ে অবতরণ করেছিল বুধবার রাত ১০টা ৫০ মিনিটে। রাত ১২টা ৫ মিনিটে দুবাই থেকে ৪ ঘণ্টা ৫৫ মিনিট উড়ে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় সকাল ৭টায় চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের কথা ছিল।
কিন্তু যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে উড়োজাহাজটি বিকল হয়ে পড়ে। এতে ২৭৫ জন যাত্রী এয়ারপোর্টে আটকা পড়েন।
বিমান সংশ্লিষ্টরা জানান, উড়োজাহাজটি চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়লে অধিকাংশ যাত্রীকে হোটেলে প্রেরণ করা হয়। কেবল ১২ সদস্যের একটি পরিবার নিজে থেকেই হোটেলে যেতে চাননি। তারা বিমানবন্দরের লাউঞ্জেই থেকে যান।
শুক্রবার স্থানীয় সময় মধ্যরাতে বিমানের দুবাইয়ের স্টেশন ম্যানেজার দস্তগীর জানিয়েছিলেন, রাতে বিমানের একটি ফিরতি ফ্লাইটে করে দেশ থেকে বিকল উড়োজাহাজের জন্য যন্ত্রাংশ নিয়ে আসা হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে যন্ত্রাংশ প্রতিস্থাপন করে এটি উড্ডয়নের উপযোগী করে তোলা হচ্ছে।
আটকে পড়া যাত্রীদের মধ্যে প্রবাসী ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আবুল বাশার বলেন, মূল ফ্লাইটটি ছিল বুধবার রাত ১২টা ৫ মিনিটে। আমরা বোর্ডিং পাস নিয়ে উড়োজাহাজে ওঠার জন্য অপেক্ষায় ছিলাম। প্রথমে বিমান থেকে জানানো হয় ফ্লাইটটি এক ঘণ্টা বিলম্ব হবে। এক ঘণ্টা পর দ্বিতীয় দফায় বলা হয়, ফ্লাইট ছাড়বে রাত ৩টায়। এ সময়ও ফ্লাইট না ছাড়লে বিমানের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি এয়ারক্রাফটটির একটি চাকায় সমস্যার কথা জানিয়েছিলেন।
এনএনবাংলা/আরএম
আরও পড়ুন
এ মাসে ‘জুলাই সনদ’ না হলে দায় সরকারের
ড্রোন শো’র কারণে রাত ১১টা পর্যন্ত হাতিরঝিলে বন্ধ থাকবে যান চলাচল
প্রধান উপদেষ্টার ভূয়সী প্রশংসা করলেন স্পেসএক্স ভাইস প্রেসিডেন্ট