এস এ শফি, সিলেট :
সিলেটের বিশ্বনাথে আগুনে চার বসতঘর পুড়ে অন্তত ২০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে এই ঘটনায় কেউ হতাহত হননি। রোববার (০১ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় উপজেলার রামপাশা ইউনিয়নের নওধার মাঝপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, স্থানীয় নওধার মাঝপাড়া গ্রামে আব্দুন নূরের ছেলে ইলিয়াস আলীর আধাপাকা ঘরে আগুন লাগে। ওই সময় ঘরে লোকজন ছিলেন না। আশপাশের লোকজন আগুনের ফুলকি দেখে ঘরের তালা ভেঙে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। আগুনের লেলিহান শিখা ছড়িয়ে পড়ে ইলিয়াস আলীর ভাই আফতাব আলী, আসাব আলী ও তাদের বাবা আব্দুন নুরের ঘরে। এতে চারটি ঘরের মালামাল, আসবাবপত্র পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
রামপাশা ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের মেম্বার মকন মিয়া বলেন, আগুনের ভয়াবহতা দেখে বিশ্বনাথ থানায় ফোন করে জানাই। থানা থেকে নাম্বার নিয়ে ফায়ার সার্ভিসে ফোন করে জানানো হয়। পরে ফায়ার সর্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌছে প্রায় আড়াইঘন্টা চেষ্টার পর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হন। এরই মধ্যে ইলিয়াস আলীর ঘর ছাড়াও তার ভাই আফতাব আলী, আসাব আলী ও তাদের বাবা আব্দুন নুরের বসত ঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
ভোক্তভোগীরা জানান, তাদের পরনের কাপড় ব্যতীত সব কিছু আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এখন পরিবারের লোকজন নিয়ে খোলা আকাশের নীচে থাকতে হবে।
নওধার গ্রামের সেবুল মিয়া বলেন, আগুন লাগার পর থেকে প্রতিবেশি হিসেবে আমরা এগিয়ে এসে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনার ব্যর্থ চেষ্টা করি। পরে স্থানীয় ইউপি সদস্যের মাধ্যমে থানা থেকে ফায়ার সার্ভিসের নাম্বার এনে খবর দেওয়া হয়। কিন্তু ঘটনাস্থল উপজেলা সদর থেকে প্রত্যন্ত এলাকায় হওয়াতে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন আসতে দেরি হয়। এরইমধ্যে চারটি বসতঘর সম্পূর্ণ ভম্মিভূত হয়ে যায়।
বিশ্বনাথ ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স’র কর্মকর্তা আকরামুল হোসেন বলেন, খবার পাওয়ার সাথে সাথে ফায়ার সার্ভিসের ১০ সদস্যের সমন্বয়ে ২টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌছে স্থানীয়দের সহযোগীতায় আগুন নেভাতে সক্ষম হই।
তিনি বলেন, প্রথম গ্যাস থেকে আগুন লাগার খবর পাই। নিয়ন্ত্রনে আনার পর দেখতে পাই বৈদ্যুতিক সর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। এতে চার পরিবারের অন্তত ২০ লাখ টাকার মালামাল পুড়ে গেছে। তবে কেউ হতাহত হননি।
এসময় বিশ্বনাথ থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) পান্না লাল রায় বলেন, আগুন লাগার খবর পেয়ে থানা থেকেও ফায়ার সার্ভিসকে জানানো হয়। সেই সঙ্গে তার নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে কৌতুহলী জনতাকে সরিয়ে আগুন নেভাবে সহায়তা করি। ফায়ার সার্ভিসের ২টি ইউনিট প্রায় আড়াইঘন্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন। বন্ধ ঘরে বিদ্যুতের শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন
সাংবাদিকদের সাথে রংপুর পুলিশ সুপারের মতবিনিময়
আশুলিয়ায় মরদেহ পোড়ানোর মামলায় কনস্টেবল মুকুল কারাগারে
শীতে শিশুদের সুস্থ রাখবে যেসব খাবার