অনলাইন ডেস্ক :
চলতি মাসের ৩ তারিখ বিশ্বের উষ্ণতম দিন ছিল বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্টাল প্রেডিকশন। সংস্থাটি জানিয়েছে, ওই দিন বিশ্বের গড় তাপমাত্রা ছিল ১৭ দশমিক শূন্য এক ডিগ্রি সেলসিয়াস বা ৬২ দশমিক ৬২ ডিগ্রি ফারেনহাইট। এর আগে বিশ্বের সর্বোচ্চ গড় তাপমাত্রা ছিল ২০১৬ সালের আগস্টে। মাসটির একদিন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ১৬ দশমিক ৯২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত মঙ্গলবার রয়টার্সের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি। প্রতিবেদনে গণমাধ্যমটি জানিয়েছে, বিশ্বব্যাপী তীব্র দাবদাহ অনুভূত হচ্ছে। এর ফলে চলতি মাসের ৩ তারিখে বৈশ্বিক গড় তাপমাত্রা সর্বোচ্চ ছিল। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে দক্ষিণ যুক্তরাষ্ট্রে তীব্র দাবদাহ অনুভূত হয়। এ ছাড়া চীনে দাবদাহ চলমান। দেশটিতে তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়েছে। আর উত্তর আফ্রিকার তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রির কাছাকাছি।
এদিকে, বরফাচ্ছন্ন অ্যান্টার্কটিকায় শীতকাল চললেও, এ সময়ে সর্বোচ্চ গরম রেকর্ড করা হয়েছে। সেখানে আর্জেন্টাইন দ্বীপপুঞ্জে জুলাইয়ের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৮.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করেছে ইউক্রেনের ভেরনাডেস্কি রিসার্চ বেসের গবেষকরা। লন্ডনের ব্রিটেনের ইম্পেরিয়াল কলেজের গ্রান্থাম ইন্সটিটিউট ফর ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যান্ড দ্য এনভায়রনমেন্টের জলবায়ু বিজ্ঞানী ফ্রেডেরিক অটো বলেন, ‘এটি মাইলফলক নয়, যা আমাদের উদযাপন করা উচিত। এটি মানুষ ও বাস্তুসংস্থানের জন্য মৃত্যুদ-ের শামিল।’ বিজ্ঞানীরা বলছেন, এল নিনো জলবায়ু পরিস্থিতি শুরু হয়ে গেছে।
বৈশ্বিক তাপমাত্রার ডেটা রাখা অলাভজনক সংস্থা বেকারলি আর্থের গবেষক জেকে হাউসফাদার বলেন, ‘দুর্ভাগ্যবশত, চলতি বছরে যে সিরিজ রেকর্ড হতে চলছে তার শুরু ৩ জুলাইয়ের গড় তাপমাত্রার রেকর্ড দিয়ে। এই বছর কার্বন নির্গমন কমেনি। গ্রিন হাউস গ্যাসের নিঃসরণও কমেনি। এর জেরে এল নিনো পরিস্থিতিতে চলে গেছে জলবায়ু।’
আরও পড়ুন
উড়োজাহাজ বিধ্বস্তে ৩৮ জনের মৃত্যু, আজারবাইজানে রাষ্ট্রীয় শোক পালন
বিশ্বে ক্ষুধার্ত মানুষ বাড়ছে, কমছে ধনী দেশের সাহায্য
গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসন চলছেই, একদিনে নিহত ৫৮