জেলা প্রতিনিধি, সিলেট (বিয়ানীবাজার):
সরকারের ব্যয় সাশ্রয়ী পরিকল্পনার অংশ হিসেবে সারাদেশের ন্যায় সিলেটের বিয়ানীবাজারেও শুরু হয়েছে লোডশেডিং।
সরকারের তরফ থেকে এক ঘণ্টা করে মোট ৬ ঘন্টা লোডশেডিংয়ের কথা বলা হলেও বিয়ানীবাজার উপজেলায় গড়ে ১৫ ঘন্টা বিদ্যুৎবিহীন কাটাতে হচ্ছে।
কোন সূচী নেই, যখন-তখন লোডশেডিংয়ের কবলে ফেলা হচ্ছে এত অঞ্চলের বিদ্যুৎ গ্রাহকদের।
বিয়ানীবাজার পল্লী বিদ্যুৎ অফিস থেকে স্থানীয়ভাবে লোডশেডিংয়ের একটি সূচী প্রকাশ করা হলেও তা সহজে বুঝবেনা কেউ।
জঠিল এই সূচীর ন্যায় উপজেলার বিদ্যুৎ পরিস্থিতি আরো জঠিল। এমনিতেই গত কয়েকদিন থেকে প্রচন্ড গরমে বিয়ানীবাজারবাসীর প্রাণ ওষ্ঠাগত। তার উপরে বিদ্যুতের এই ভেলকি জনমনে কেবল বিরক্তি ছড়াচ্ছে।
এদিকে স্কুল কলেজ খুলেছে,প্রচন্ড গরম আর বিদ্যুৎ না থাকার কারণে স্কুল কলেজের ছাত্র ছাত্রীরা প্রতিনিয়িত অসুস্থ হয়ে পড়ছে।
উপজেলায় সম্প্রতি বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থায় যে উদাসীনতা, তা গত ২০ বছরেও দেখা যায়নি বলে মন্তব্য করেছেন পল্লী বিদ্যুতের সাবেক এলাকা পরিচালক এডভোকেট মো. আমান উদ্দিন।
বিয়ানীবাজার উপজেলায় প্রতিদিন ১৫ মেঘাওয়াট বিদ্যুতের প্রয়োজন। বর্তমানে দিনে ৬ মেঘাওয়াট বিদ্যুৎও পাওয়া যাচ্ছেনা বলে জানিয়েছে পল্লী বিদ্যুৎ কর্তপক্ষ।
এমনিতে বন্যার কারণে উপজেলার অধিকাংশ গ্রামই নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎসেবা থেকে বঞ্চিত ছিল। শুধু বিদ্যুৎ নয় এখানকার আকাশে সূর্যের দেখাও মিলেনি ২০ দিন।
বৃষ্টি কমলে গত ২ জুলাই থেকে প্রখর রোদে পুড়েছে প্রকৃতি, তাপমাত্রাও বেড়েছে। ভ্যাপসা গরমে দুর্বিষহ জনজীবন। এর মধ্যে এসএসসি পরীক্ষারও প্রস্তুতি নিতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। এ অবস্থায় মানুষকে বিপাকে ফেলেছে লোডশেডিং।
পৌরসভার বাসিন্দা সাইহিদুল ইসলাম বলেন, দিনে রাতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিদ্যুৎহীন থাকতে হয়। অভিযোগ দিলে যেন আগুনে ঘি ঢালা হয়, এদিন আর বিদ্যুতের আলো থেকে বঞ্চিত থাকেন পুরো এলাকার মানুষ।
জানা যায়, পালাক্রমে উপজেলায় ৬ ঘন্টা লোডশেডিংয়ের কথা থাকলেও ঘন্টার পর ঘন্টা বিদ্যুৎবিহীন কাটাতে হচ্ছে এখানকার লোকজনকে। ভোর, সকাল, দুপুর, বিকাল, সন্ধ্যা, রাত কোন সময়েই নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছেনা।
আরও পড়ুন
বেরোবিতে দিনব্যাপী বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা ক্যাম্প অনুষ্ঠিত
তিস্তা এক্সপ্রেস ট্রেনের ইঞ্জিন বিকল, যাত্রী দুর্ভোগে পড়েন তিন ঘণ্টা দেরিতে যাত্রা
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় ১ম বর্ষ শূন্য আসনে ভর্তি ও সাক্ষাৎকার ১৫ জানুয়ারি