August 23, 2025

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Saturday, August 23rd, 2025, 12:43 am

বৃদ্ধ বাবা-মাকে নিয়ে গ্রামের বাড়ি ফিরছিলেন দুই ছেলে, পথেই শেষ হলো ৪টি জীবন

 

কুমিল্লায় প্রাইভেট কারের ওপর কাভার্ডভ্যান উল্টে পড়ে নিহত চারজন ঢাকা থেকে কুমিল্লার বরুড়ায় নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন বলে জানা গেছে। নিহত ওমর আলী এবং নুরজাহান বেগম বরুড়ায় নিজ বাড়িতেই বসবাস করতেন।

মাস দুয়েক আগে ওমর আলী চিকিৎসার জন্য স্ত্রীসহ ঢাকায় বড় ছেলের বাসায় যান। চিকিৎসা শেষে শুক্রবার (২২ আগস্ট) বাবা ওমর আলী ও মা নুরজাহান বেগমকে নিয়ে গ্রামের বাড়িতে যাচ্ছিলেন তাদের দুই ছেলে। পথিমধ্যেই ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে পড়ে প্রাণ হারান সবাই।

শুক্রবার (২২ আগস্ট) সন্ধ্যায় নিহত ওমর আলীর বড় মেয়ের স্বামী দেলোয়ার হোসেন ময়নামতি হাইওয়ে থানার সামনে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান। নিহতদের মরদেহ ময়নামতি হাইওয়ে থানায় রয়েছে।

এর আগে দুপুর ১২টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার হোটেল নূরজাহান এলাকার ইউটার্নে প্রাইভেট কারের ওপর কাভার্ডভ্যান উল্টে পড়ে নিহত হন একই পরিবারের চারজন।

নিহতরা হলেন- কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার পয়েল গাছা ইউনিয়নের হোসেনপুর গ্রামের ওমর আলী (৮০), তার স্ত্রী নুরজাহান বেগম (৬৫), দুই ছেলে আবুল হাসেম (৫০) ও আবুল কাশেম (৪৫)। বড় ছেলে আবুল হাসেম গাড়িটি চালাচ্ছিলেন বলে জানা গেছে।

দেলোয়ার হোসেন জানান, নিহত ওমর আলীর বড় ছেলে আবুল হাসেম স্বপনের বাসা রাজধানীর কল্যাণপুরে। নিজ ফ্ল্যাটেই থাকতেন স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে। ব্যাংক এশিয়ার মিরপুর রুপনগর ব্রাঞ্চের ব্যবস্থাপক ছিলেন তিনি। দুই সন্তানের জনক তিনি। বড় মেয়ে রাজধানীর আজিমপুর ভিকারুন্নেসা স্কুল থেকে এবারে এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছে। একমাত্র ছেলে সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী। ছোট ছেলে আবুল কাশেম মামুন রাজধানীর মানিকগর এলাকার নিজ ফ্ল্যাটে বসবাস করতেন। তিনি এমএনজি নামক একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করতেন। আবুল কাশেম মামুন দুই ছেলের জনক। তার বড় ছেলে শাহির আহমেদ আয়ান ৬ষ্ঠ শ্রেণিতো এবং ছোট ছেলে সাজিল আহমেদ আবরান প্রথম শ্রেণিতে পড়ে।

ওমর আলীর বড় মেয়ে হাসিনা আক্তার যমুনা ব্যাংকের দোলাইখাল শাখায় কর্মরত আছেন। ছোট মেয়ে রোকসানা আক্তার বিথি ডাচ বাংলা ব্যাংকের শ্যামলী ব্রাঞ্চে কর্মরত।

ময়নামতি হাইওয়ে থানা পুলিশের উপপরিদর্শক আনিসুল ইসলাম জানান, নিহতরা সবাই একই পরিবারের সদস্য। ঢাকা থেকে কুমিল্লার বরুড়ার নিজ গ্রামে যাচ্ছিলেন তারা। হোটেল নূরজাহানে এসে দুপুরে খাওয়া দাওয়া করেন তারা। সেখান থেকে থেকে কুমিল্লা শহরের দিকে প্রাইভেট কারে করে যাচ্ছিলেন। এ সময় ইউটার্নের কাছে এলে কাভার্ডভ্যানটির মুখোমুখি হয় প্রাইভেট কারটি। কাভার্ডভ্যানের চালক প্রাইভেট কারটিকে বাঁচাতে ব্রেক করলে কাভার্ডভ্যানটি উল্টে প্রাইভেট কারের ওপর পড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় সবার।

এনএনবাংলা/