ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের (এফএসসিডি) মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন বলেছেন, রাজধানীর বেইলি রোডের ভবনটিতে কোনো অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল না।
শুক্রবার বিকেলে পুড়ে যাওয়া ‘গ্রিন কোজি কটেজ শপিং মল’ নামে ভবনটির সামনে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
বৃহস্পতিবার রাতে ওই ভবনটিতে অগ্নিকাণ্ডে ৪৬ জনের মৃত্যু এবং কয়েক ডজন লোক আহত হয়েছেন।
এফএসসিডি ডিজি বলেন, ভবনটিতে কোনো অগ্নিনিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল না। পুরো ভবনে কেবল একটি ছোট সিঁড়ি ছিল। রুটিন মনিটরিংয়ের অংশ হিসেবে ভবন মালিকদের আগে ফায়ার সার্ভিস তিনটি নোটিশ জারি করেছিল বলেও জানান তিনি।
ডিজি মাইন উদ্দিন আরও জানান, অগ্নিকাণ্ডের সময় যে রুমে সবাই আশ্রয় নিয়েছিল, তাতে কোনো জানালা ছিল না।
এর আগে এই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে গভীর দুঃখ ও শোক প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই বহুতল ভবনটিতে কোনো ফায়ার এক্সিট নেই।
সাততলা বাণিজ্যিক ভবনটিতে যা যা আছে-
ভবনের প্রথম তলায় গ্যাজেট অ্যান্ড গিয়ারের দোকান, মোবাইল শোরুম এবং চায়ের স্টল ‘চা চুমুক’ যেখান থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে জানা গেছে।
দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় ছিল জনপ্রিয় রেস্টুরেন্ট ‘কাচ্চি ভাই’ এবং পোশাকের শোরুম ‘ইলিয়েন’।
চতুর্থ ও পঞ্চম তলায় ছিল যথাক্রমে ‘খানাস’, ‘ফুকো’ ও ‘পিজ্জা ইন’।
ষষ্ঠ ও সপ্তম তলায় ছিল ‘জাসদি’, ‘স্ট্রিট ওভেন’ ও ‘অ্যামব্রোসিয়া’।
শুক্রবার সকালে আগুনের একটি ভিডিও ক্লিপে দেখা যায়, আগুন নিচতলার একটি দোকান থেকে ছড়িয়ে পড়ে এবং কিছুক্ষণের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে।
এ অগ্নি দুর্ঘটনায় অন্তত ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং কয়েক ডজন মানুষ হাসপাতালের বিছানায় লড়াই করছে।
——ইউএনবি
আরও পড়ুন
শেরপুর ও ময়মনসিংহে আকস্মিক বন্যা, তলিয়ে গেছে ১৬৩ গ্রাম
আরও বেড়েছে ডিমের দাম, সবজির দামও ঊর্ধ্বমুখী
ময়মনসিংহে মোবাইল বিস্ফোরণে চিকিৎসকের মৃত্যু