অনলাইন ডেস্ক :
লিওনেল মেসি বেতন নিতে চেয়েছিলেন অর্ধেক, কিন্তু দলের অন্য সিনিয়র খেলোয়াড়দের অনেকেই নাকি বেতন কমাতে রাজি নয়। গণমাধ্যমে সবচেয়ে বেশি খবর এসেছে জর্দি আলবাকে নিয়ে। জয় দিয়ে লা লিগা শুরুর পর অভিজ্ঞ এই ডিফেন্ডার জানালেন, এসব খবর একবিন্দু সত্যি নয়। বার্সেলোনার সব অধিনায়কই বেতন কমানোর পক্ষে। মেসি চলে যাওয়ায় কাতালান ক্লাবটির চতুর্থ অধিনায়ক হয়েছেন আলবা। রোববার লা লিগার নতুন মৌসুমে রিয়াল সোসিয়েদাদের বিপক্ষে ৪-২ গোলে জিতে নতুন যুগের শুভ সূচনা করেছে বার্সেলোনা। ম্যাচ শেষে আলবা জানান, তার বেতন কমাতে না চাওয়ার খবর মোটেও ঠিক নয়। “ইউরো ২০২০ এর আগে কেউ আমার সঙ্গে কথা বলেনি। এটা (কথা বলেছে) মিথ্যা। যখনই ক্লাব কথা বলতে চায়, আমি রাজি। এখানে বেড়ে উঠেছি, বার্সেলোনায় পুরো জীবন কাটাচ্ছি। ক্লাবের প্রতি আমার নিবেদনকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হচ্ছে, যা আমাকে প্রচ- কষ্ট দিয়েছে।” “যেহেতু সভাপতি এ নিয়ে আলাদা করে এখনও কিছু বলেননি, আমার মনে হয় তিনি বলবেন এবং সত্যটাই বলবেন।” আলবার মতে, বেতন কমিয়ে ক্লাবকে সহায়তা করার সদিচ্ছা আছে দলের চার অধিনায়কেরই। কিন্তু মিথ্যা ছড়ানো, ক্লাবের প্রতি তাদের দায়বদ্ধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা; এসব প্রচ- ব্যথিত করছে তাকে। “আমার আইনজীবী ক্লাবের সঙ্গে কথা বলেছেন। পিকের সঙ্গে প্রথমেই (চুক্তি) সম্পন্ন করেছে, টাইমিংয়ের কারণে। তবে সব অধিনায়কের সদিচ্ছা যেমন থাকার কথা তেমনই আছে। “মিথ্যা আমাকে বিরক্ত করে, ক্লান্ত করে দেয়। আমি অনেক কিছু সহ্য করতে পারি, কিন্তু আমার পরিবার ও তাদের যা কিছু শুনতে হচ্ছে এর জন্য কষ্ট পাই।” লম্বা সময় ধরে মেসির সঙ্গে খেলেছেন আলবা। দুইজনের বোঝাপড়া ছিল দারুণ। এমন একজনকে হারাতে চাননি তিনি নিজেও। একই সঙ্গে পরিষ্কার করেছেন, মেসির ক্লাব ছাড়ার সঙ্গে অধিনায়কের কোনো সম্পর্ক নেই। “সর্বকালের সেরা হওয়া ছাড়াও, লিও (মেসি) এমন একজন যে আমাকে অনেক ভালো বুঝত। ভাবুন, তাকে ধরে রাখার জন্য আমার কতটা চেষ্টা থাকত। এটা সত্য নয় (বেতন কমানোর প্রস্তাব অধিনায়করা ফিরিয়ে দেওয়ার কারণে মেসি চলে গেছে)। মেসির বিষয়টি অধিনায়কদের থেকে আলাদা। ওটা ক্লাব ও তার ব্যাপার।”
আরও পড়ুন
টেস্ট ক্রিকেট: মরণদশা থেকে বাঁচানোর উপায় কী
একটা ধাক্কায় কোহলির ৪ লাখ টাকা জরিমানা
মাশরাফি–সাকিব কি খেলবেন বিপিএলে?