December 24, 2025

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Monday, December 22nd, 2025, 6:34 pm

বেনজীরের ৪ ফ্ল্যাটের সম্পদ প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিলে হস্তান্তর: দুদক

 

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের চারটি ফ্ল্যাট থেকে জব্দ করা শতাধিক ধরনের মালামাল প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিলে হস্তান্তর করেছে।

দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন সোমবার (২২ ডিসেম্বর) নিশ্চিত করে বলেন, নিলামে মালামাল নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি এড়াতে তা সরাসরি ত্রাণ তহবিলে পাঠানো হয়েছে।

দুদক জানায়, আদালতের নির্দেশ অনুসারে গুলশানে অবস্থিত বিলাসবহুল ডুপ্লেক্স ফ্ল্যাটে থাকা ১৯টি ফ্রিজ, প্রায় ১০০টি এয়ার কন্ডিশনার, আধুনিক আসবাবপত্র, বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ডিভাইস এবং ব্যক্তিগত পোশাক ও জুতাসহ অন্যান্য মালামাল ত্রাণ তহবিলে হস্তান্তর করা হয়েছে।

দুদকের চিঠি সূত্রে জানা গেছে, বেনজীর আহমেদ ও তার স্ত্রী ও কন্যাদের চারটি ফ্ল্যাটে থাকা পচনশীল ও ব্যবহৃত মালামাল, কাপড়-চোপড়, তৈজসপত্র, রান্নাঘরের জিনিসপত্র ও নমুনা রেখে বাকি মালামাল আদালতের নির্দেশনায় প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ ভাণ্ডারে জমা দেওয়া হয়েছে।

২০২৪ সালের ১৫ ডিসেম্বর, সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ, তার স্ত্রী ও দুই মেয়ের নামে চারটি মামলা করে দুদক। মামলায় তাদের বিরুদ্ধে ৭৪ কোটি ১৩ লাখ ৩৯ হাজার টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন এবং সম্পদের তথ্য গোপন করার অভিযোগ আনা হয়।

অনুসন্ধানের পর দুদক বেনজীর ও তার পরিবারের নামে ৬৯৭ বিঘা জমি, ১৯টি কোম্পানির শেয়ার, ঢাকায় ১২টি ফ্ল্যাট, ৩০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র, ৩৩টি ব্যাংক হিসাব এবং তিনটি বিও হিসাব উদ্ধার করে। আদালতের আদেশে এসব সম্পদ জব্দ ও অবরুদ্ধ করা হয়।

গত ২৩ মে, আদালত সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের ৮৩টি সম্পত্তির দলিল এবং ৩৩টি ব্যাংক হিসাব জব্দের নির্দেশ দেন।

এরপর ২৬ মে, আদালত বেনজীর ও তার পরিবারের ১১৯টি জমির দলিল, ২৩টি কোম্পানির শেয়ার এবং গুলশানে থাকা চারটি ফ্ল্যাট জব্দের আদেশ দেন। এছাড়া, তাদের নামে থাকা ৩৪৫ বিঘা (প্রায় ১১৪ একর) জমি এবং বিভিন্ন ব্যাংকের ৩৩টি হিসাবও জব্দ ও অবরুদ্ধ করা হয়। সব মিলিয়ে মোট ৬২৭ বিঘা জমি ক্রোক করা হয়েছে।

বেনজীর আহমেদ ২০২০ সালের ১৫ এপ্রিল থেকে ২০২২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পুলিশের আইজি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এর আগে তিনি ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার এবং র‌্যাবের মহাপরিচালক হিসেবেও দায়িত্বে ছিলেন।

মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগের কারণে ২০২১ সালের ডিসেম্বরে যুক্তরাষ্ট্র র‌্যাব এবং র‌্যাবের সাত সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে, যার মধ্যে বেনজীর আহমেদও ছিলেন।

এনএনবাংলা/