অনলাইন ডেস্ক:
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে, মাইগ্রেনের ব্যথা কমাতে, বমি বমি ভাব দূর করতে আদার জুড়ি নেই। এমনকি হার্ট ভালো রাখতেও সাহায্য করে আদা। কেউ কেউ আদা চিবিয়ে খান, আবার কেউ কেউ ভরসা রাখেন আদা চায়ে। শীতে সর্দি-কাশি ও সংক্রমণ থেকে মুক্তি পেতেও আদা চা দারুণ উপকারী। জ্বর জ্বর ভাব, নাক বন্ধ থেকে মাথা ধরা ইত্যাদি সমস্যা দূর করে এক কাপ আদা চা। কেননা আদার ভেষজ গুণ অনেক। এটি শরীরের জন্য ভালো। তবে পুষ্টিবিদরা বলছেন, আদা অনেক উপকারী হলেও বেশি পরিমাণে আদা খাওয়া যাবে না। খেলে হিতে বিপরীত হতে পারে।
বেশি আদা খেলে যেসব ক্ষতি হতে পারে
আদা রক্ত সঞ্চালনের হার বাড়িয়ে দেয়। হিমোফিলিয়ার সমস্যা থাকলে আদার এই গুণ আপনার জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে। হিমোফিলিয়া বংশগত অসুখ। এই রোগে বিশেষ এক প্রকার প্রোটিনের অনুপস্থিতিতে রক্ত জমাট বাঁধতে পারে না। ছোটখাটো কাটাছেঁড়া থেকে অনেক বেশি রক্তপাত, এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। হিমোফিলিয়ার ওষুধ খাচ্ছেন এমন রোগীরা যদি বেশি আদা খান, তাহলে ওষুধের প্রভাবে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে।
ডায়াবিটিসের ওষুধ নিয়মিত খেলে খুব বেশি আদা খাবেন না। কেননা আদা রক্তকে পাতলা করে রক্তচাপ কমিয়ে দেয়। তাই সাধারণ ভাবে আদা খাওয়া উপকারী হলেও ইনসুলিনের মতো ওষুধের প্রভাব কমিয়ে দিতে পারে।
খুব কাশি হলে অনেকেই মুখের ভিতর আদার টুকরো রাখেন। আদার রস গলায় পৌঁছলে খুসখুসে ভাব দূর হয়। কিন্তু অনেকেই হয়তো জানেন না, বেশি ক্ষণ আদার টুকরো মুখের ভিতরে রাখলে অ্যালার্জির সমস্যা হতে পারে। বিশেষ করে আগে থেকেই কারো অ্যালার্জির সমস্যা থাকলে আদা না খাওয়াই ভালো।
অতিরিক্ত আদা খেলে চোখ ও ত্বকে সংক্রমণ দেখা দিতে পারে। ঠোঁট ফুলে ওঠা, গলায় অস্বস্তির মতো সমস্যাও হতে পারে। এমন উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
আদায় অ্যান্টিপ্লেটলেট বৈশিষ্ট্য থাকার কারণে অতিরিক্ত আদা খেলে রক্তক্ষরণ হতে পারে। রসুন ও লবঙ্গের সঙ্গে আদা খেলে রক্তপাতের ঝুঁকি আরও বেড়ে যায়। তাই এ ধরনের সমস্যা এড়াতে অতিরিক্ত আদা খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
আরও পড়ুন
শীতে শিশুদের সুস্থ রাখবে যেসব খাবার
শীতে ভিটামিন সি’র ঘাটতি মেটাতে যেসব ফল খাবেন
জীবনে সুখ চাইলে এদের এড়িয়ে চলুন