অনলাইন ডেস্ক :
জয়ের জন্য জাফনা কিংসের দরকার ১২ বলে ১৩ রান। বোলিংয়ের সুযোগ আছে দুই পেসার শরিফুল ইসলাম, মোহাম্মদ হাসনাইন ও অফ স্পিনার রামেশ মেন্ডিসের। কিন্তু ক্যান্ডি ফ্যালকন্স অধিনায়ক ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা বল তুলে দিলেন ‘পার্ট টাইমার’ আন্দ্রে ফ্লেচারের হাতে! ধারাভাষ্যকার বললেন, ‘ইন্টারেস্টিং ডিসিশন।’ বিস্ময়করই বটে! ম্যাচ নিয়ে সকল উত্তেজনার সমাপ্তি ফ্লেচারের প্রথম তিন বলেই। লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগে (এলপিএল) শনিবার ক্যান্ডির বিপক্ষে জাফনার জয় ৪ উইকেটে। কলম্বোর আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে বৃষ্টির কারণে ম্যাচের দৈর্ঘ্য নেমে আসে ৭ ওভারে। মোহাম্মদ হারিস (১৩ বলে ৩০) ও দিনেশ চান্দিমালের (১৩ বলে ২১) নৈপুণ্যে ৫ উইকেটে ৭৮ রান করে ক্যান্ডি।
রান তাড়ায় প্রথম ১৩ বলে ১৩ রান তুলতে ৩ উইকেট হারায় জাফনা। এরপর চারিথ আসালাঙ্কা ও আভিশকা ফার্নান্দোর কয়েকটি ছক্কায় ম্যাচে ফেরে তারা। শেষ ৩ ওভারে দরকার ছিল ৩১ রান। পঞ্চম ওভারে হাসারাঙ্গার প্রথম বলে আরেকটি ছক্কা মারেন আসালাঙ্কা। পরের তিন বলে কোনো রান না দিয়ে আসালাঙ্কা (৯ বলে ২৬) ও লহিরু সামারাকুনকে ফেরান হাসারাঙ্গা। এই লেগ স্পিনারের শেষ দুই বলে আবার দুটি ছক্কা মারেন আজমাতউল্লাহ ওমারজাই।
২ ওভারে দরকার তখন ১৩, তখনও পর্যন্ত বোলিং না পাওয়া শরিফুল, হাসনাইন কিংবা রামেশের কাউকে আক্রমণে না এনে হাসারাঙ্গা বল দেন ফ্লেচারকে, যিনি মূলত টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান, মাঝেমধ্যে করেন লেগ স্পিন কিংবা মিডিয়াম পেস বোলিং। আগের ২৯৭ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে যার বোলিংয়ের অভিজ্ঞতা স্রেফ ৬ ইনিংসে। ফ্লেচারের প্রথম বলে আভিশকা এক রান নেওয়ার পর টানা ছক্কা ও চার মেরে দলকে জয়ের দুয়ারে নিয়ে যান ওমারজাই। পরের বলে তার ক্যাচ নিতে ব্যর্থ হন কামিন্দু মেন্ডিস, দ্বিতীয় রানের চেষ্টায় আভিশকা রান আউট হলেও, পরের বলে আরেকটি রানে ম্যাচের সমাপ্তি। ক্যান্ডির হয়ে গত দুই ম্যাচে খরুচে বোলিং করেন বাংলাদেশের পেসার শরিফুল। তারপরও এই ম্যাচে তার বোলিং না পাওয়াটা ছিল বিস্ময়করই।
আরও পড়ুন
মৌসুমসেরা ফুটবলারদের বাফুফের পুরস্কার
২৯ স্ট্রাইকরেট, ৩৩ গড়, নেই কোনো ছক্কা—ভারতীয় দলে এই খেলোয়াড় না থাকাতেই খুশি হ্যাজলউড
শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় ক্রীড়াঙ্গনে জাকারিয়া পিন্টুর শেষ বিদায়