July 31, 2025

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Wednesday, July 30th, 2025, 3:19 pm

ভগ্নদশার মধ্যেও আয়-ব্যয় দুটোই বেড়েছে জাতীয় পার্টির

 

সম্প্রতি জাতীয় পার্টির (জাপা) বেশ কিছু নেতাকে দল থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগের সহযোগী হিসেবেও বিভিন্ন সময় সমালোচিত হয়ে আসছে দলটি। এমন ভগ্নদশার মধ্যেও আয় বেড়েছে জাতীয় পার্টির। যা এর আগের কয়েক বছরের তুলনায় বেশি। তবে জুলাই অভ্যুত্থানের বছরে খরচও বেড়েছে দলটির।

আজ বুধবার (৩০ জুলাই) জাতীয় পার্টির অতিরিক্ত মহাসচিব রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়ার নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদের কাছে ২০২৪ পঞ্জিকা বছরের নিরীক্ষা প্রতিবেদন জমা দেন।

পরে রেজাউল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ২০২৪ সালে তাদের দল আয় করেছে ২ কেটি ৬৪ লাখ ৩৮ হাজার ৯৩৮ টাকা। আর ব্যয় করেছে ১ কোটি ৭৯ লাখ ৮৮ হাজার ৪৪ টাকা। স্থিতি এখন ৮৪ লাখ ৫০ হাজার ৮৯৪ টাকা।

এর আগে ভোটের বছর ২০২৩ সালে জাপা আয় করে ২ কোটি ২২ লাখ ২ হাজার ৪০৫ টাকা। আর ব্যয় করে ১ কোটি ১৩ লাখ ১৮ হাজার ৫২৫ টাকা।

নির্বাচন কমিশনে যাওয়া জাতীয় পার্টির প্রতিনিধি দলে ছিলেন খলিলুর রহমান খলিল, মো. নুরুজ্জামান ও মাহমুদ আলম।

জাপার তথ্য অনুযায়ী, দলের মনোনয়ন ফরম বিক্রি, সদস্যের মাসিক চাঁদা, প্রকাশনা বিক্রিসহ বিভিন্ন খাত থেকে থেকে দলটি আয় করে। আর প্রচার কার্যক্রম, অফিস কর্মচারীদের বেতনসহ বিভিন্ন খাতে খরচ হয়।

২০২২ সালে জাতীয় পার্টি আয় দেখিয়েছিল ২ কোটি ২৯ লাখ ১৪ হাজার ৯৬৮ টাকা; ব্যয় ছিল ১ কোটি ২৮ লাখ ৩৭ হাজার ৫৪২ টাকা। ব্যাংকে স্থিতি ছিল ১ কোটি ৭ লাখ ৭৭ হাজার ৪২৬ টাকা।

২০২১ পঞ্জিকা বছরে ব্যাংক জমাসহ ২ কোটি ৯ লাখ ৮৫ হাজার ১৫৪ টাকা আয় দেখিয়েছিল জাতীয় পার্টি। আর ব্যয় দেখানো হয়েছিল ৮৪ লাখ ৬৮ হাজার ১৩৪ টাকা। বছর শেষে দলটির স্থিতি ছিল ১ কোটি ২৫ লাখ ১৭ হাজার ২০ টাকা।

২০২০ সালে দলটির ব্যয় ছিল ৭৬ লাখ ৪ হাজার ১২০ টাকা। উদ্বৃত্ত ছিল ৫১ লাখ ৬৮ হাজার ৭৫৭ টাকা ৫৪ পয়সা।

সাবেক সামরিক শাসক এইচএম এরশাদের প্রতিষ্ঠিত জাতীয় পার্টি জুলাই অভ্যুত্থানের পর থেকে অনেকটা বেকায়দায় রয়েছে।

প্রতি বছর ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে নিবন্ধিত দলগুলোর আগের পঞ্জিকা বছরের আয়-ব্যয়ের হিসাব ইসিতে জমা দেওয়ার বিধান রয়েছে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে।

২০০৮ সালে নিবন্ধন প্রথা চালুর পর থেকে প্রতি বছরের ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে আগের পঞ্জিকা বছরের (জানুয়ারি-ডিসেম্বর) আয়-ব্যয়ের হিসাব স্বীকৃত চার্টার্ড অ্যাকাউন্টিং ফার্ম দিয়ে নিরীক্ষা করে ইসিতে জমা দেয় রাজনৈতিক দলগুলো।

এনএনবাংলা/আরএম