অনলাইন ডেস্ক :
ভারতে গত কয়েকদিন ধরে করোনাভাইরাস সংক্রমণের হার বাড়তে শুরু করেছে। তারই ধারাবাহিকতায় বুধবার (১২ এপ্রিল) দেশটিতে নতুন করে ৭ হাজার ৮৩০ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন, যা সর্বশেষ ২২৩ দিনের মধ্যে সর্বোচ্চ। ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানা গেছে। এর আগে, গত বছরের পয়লা সেপ্টেম্বর দেশটিতে করোনা রোগী শনাক্ত হয় ৭ হাজার ৯৪৬ জন। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, দেশটিতে বর্তমানে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৪০ হাজার ২২৫ জন। তবে সুস্থতার হারও বেশ ভালো। প্রায় ৯৯ শতাংশ করোনা রোগী সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় ৪ হাজার ৬৯২ জন করোনা রোগী সুস্থ হয়েছেন বলে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে। টিকা কার্যক্রমের পর ভারতে ভাইরাসের বিস্তার রোধ কমেছিল। বিশেষ করে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের পর দেশটিতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা কমতে শুরু করে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, দেশটিতে ২২০ দশমিক ৬৬ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। তবে সম্প্রতি সংক্রমণের হার বাড়তে থাকায় স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। করোনাভাইরাসের নতুন ধরন এক্সবিবি ১ দশমিক ১৬ ভ্যারিয়েন্ট খুবই মারাত্মক। এই ধরন মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ব্যাপকভাবে ধ্বংস করতে সক্ষম। তাই আগামী চার সপ্তাহ ভারতবাসীর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। স্যার গঙ্গা রাম হাসপাতালের সিনিয়র পেডিয়াট্রিশিয়ান ডা. ধীরেন গুপ্তা বলেন, এক্সবিবি ১ দশমিক ১৬ ভ্যারিয়েন্ট শিশু এবং বয়স্কদের মধ্যে বেশি সংক্রমিত হয়ে থাকে। করোনাভাইরাসের এই নতুন ধরন এতটাই ভয়ঙ্কর যে, যারা আগেও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন তাদের মধ্যেও সংক্রমিত হতে পারে। এছাড়াও টিকা নেওয়া কিশোর এবং প্রাপ্তবয়স্করাও আক্রান্ত হতে পারেন। সূত্র: উইওন
আরও পড়ুন
উড়োজাহাজ বিধ্বস্তে ৩৮ জনের মৃত্যু, আজারবাইজানে রাষ্ট্রীয় শোক পালন
বিশ্বে ক্ষুধার্ত মানুষ বাড়ছে, কমছে ধনী দেশের সাহায্য
গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসন চলছেই, একদিনে নিহত ৫৮